কমলগঞ্জ সংবাদদাতা
টানা বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ধারে বেশ কিছু গাছ শিকড়সহ উপড়ে পড়ে। এ কারণে কমলগঞ্জের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলের সড়ক যোগাযোগ দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। ফায়ার সার্ভিস, বন্যপ্রাণী বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের সদস্যদের সহযোগীতার কারণে বিকেল ৩টায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
টানা কয়েকে দিনের বৃষ্টির কারণে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর মাগুরছড়া গ্যাস কুপ ও লাউয়াছড়া উদ্যানের প্রধান গেইট এলাকায় কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক ধারে বেশ বড় একটি গাছ শিকড়সহ উপড়ে পড়ে। এর মধ্যে দুটি বড় গাছ সড়কের ওপর পড়ে থাকার কারণে এই পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তারও ছিঁড়ে পড়েছিল। বিদ্যুৎকর্মী, বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে থাকা গাছ কেটে সরানোর পর বিকেল ৩টায় এই সড়কে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মাগুরছড়ায় গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গাছটি অনেক বড়। সেটা কেটে রাস্তার এক পাশে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ ভালোভাবে করা যাচ্ছেনা। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও আমাদের বন বিভাগের সদস্যরা মিলে রাস্তার এক পাশ বন্ধ রেখে গাছগুলো সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার অতিরিক্ত লোকজন এনে পুরা রাস্তা থেকে গাছ সড়িয়ে ফেলে স্বাভাবিক করা হবে।
গত ২৫মে থেকে হালকা বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কমলগঞ্জে টানা ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে মাঝে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থামলে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। এর ফলে এ উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। খেটে খাওয়া মানুষজন ঘরের বাইরে বের হতে পারেননি। বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী সালাহউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল। দুর-দুরান্তের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেনি। এদিকে রাস্তায় গাছ পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারিরা। এসময় পথচারি রাজ আবেদীন রাজু জানান, রাস্তা বন্ধ থাকায় দুই ঘন্টার উপরে আটকে ছিলাম।