শিল্প ক্ষেত্রে বিসিক সর্বদা উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে। বিসিকের সফলতা মানেই বিসিক সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সফলতা। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক শিল্পায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। সিলেটে ১৮ মে শনিবার হোটেল নির্ভানা ইন’র সম্মেলন কক্ষে বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেটের আয়োজনে উরংংবসরহধঃরড়হ ডড়ৎশংযড়ঢ় ড়হ ওড়ফরুবফ ঝধষঃ ধপঃ, ২০২১ এর আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অখিল রঞ্জন তরফদার, মহাব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ), বিসিক, ঢাকা, সিলেট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি তাহমিন আহমেদ, সিলেট উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি স্বর্ণলতা রায়। এতে ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (লবণ-সেল প্রধান) সরোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক আরো বলেন, বুদ্ধিমান নাগরিক তৈরি করতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আয়োডিনের ঘাটতি পুরনে আয়োডিন যুক্ত লবন খাওয়া দরকার। সিলেট অঞ্চলে আয়োডিনের ঘাটতি সবচেয়ে কম মাত্র ৪.৫ %, যেটি সারা বাংলাদেশে ২৪%। এ বছর বাংলাদেশে গত ৬৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি লবন উৎপাদন হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে ১ লক্ষ ৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্য করে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, সিলেটে একটি নতুন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শিল্প নগরী করার উদ্যোগ নিবে বিসিক। বিসিক জায়গা বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ, আর্থিক প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে এসব সুযোগ-সুবিধার পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও শিল্প নগরী গুলোতে ১০% জমি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে।
পরবর্তীতে সিলেট অঞ্চলের চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি গুলোর সভাপতিরা, বিসিক পরিষদের সদস্যরা, ও উদ্যোক্তাগণ বিসিক শিল্প অঞ্চলগুলোর সীমানা প্রাচীর সমস্যা, জলাবদ্ধতা সমস্যা, ড্রেনেজ সমস্যাসহ বিভিন্ন চলমান সমস্যা তুলে ধরেন এবং তা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি