স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের গোটাটিকর আবাসিক এলাকায় কৃষানপুরে ১৫টি পরিবারের নিজের জায়গায় দিয়ে তৈরি করা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ইসকন সংস্থা। সোমবার (১৩ই এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ১৫টি পরিবারের সদস্যদের পক্ষে স্বর্গীয় জিতেন্দ্র মোহন চন্দ এর ছেলে সিন্টু রঞ্জন চন্দ, কানু চন্দের ছেলে উজ্জল রঞ্জন চন্দ, রানু চন্দ, বেনু চন্দ ও ঝুন্টু চন্দ, নিবারন চন্দ, ধনঞ্জয় চন্দ, অমূল্য চন্দ, অনুকুল চন্দ সহ সবাই রাস্তা সংস্কারের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পাকা খুটি স্থাপন করতে গেলে ইসকনের কৃষাণপুর এলাকায় শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সুনন্দন কানাই এর নেতৃত্বে প্রথমে বাঁধা ও পরে পাঁকা খুঁটি ভেঙ্গে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ৯৯৯ এ কল দিয়ে সুনন্দন সানাই প্রশাসন কে আসার অনুরোধ করেন। ৯৯৯ এ কল পেয়ে মোগলাবাজার থানার এএসআই সোহেল আহমদ এর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার ও সামাজিকভাবে বিষয়টি নিস্পত্তির আহবান জানান।
এ ব্যাপারে এক প্লটের জায়গার মালিক সিন্টু রঞ্জন চন্দ বলেন, বিগত প্রায় ৪০বছর পূর্বে আমার বাবা স্বর্গীয় জিতেন্দ্র চন্দ জীবিত থাকা অবস্থায় আমার মামা বীরেন্দ্র চন্দ, চারুবালা, দিগেন্দ্র চন্দ এই এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ ঘোষ এর কাছ থেকে ২০শতক ভ‚মি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে বীরেন্দ্র চন্দের অংশটি জিতেন্দ্র মোহন চন্দ এর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পর সিন্টু চন্দ গংরা ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় ঘর ও রাস্তা তৈরি করে তিনটি প্লটের মালিকগণ ভোগদখল করে আসছিলেন। গত এক বছর ধরে রাস্তার জায়গাটি নিয়ে বার বার বাঁধা প্রদান করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিলো ইসকন সংস্থা। বিগত ২০ এপ্রিল বিভিন্ন পাড়া থেকে আসা ময়মুরুব্বিরা, আমাদের ১৫টি পরিবারের প্রতিনিধি ও ইসকনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সবার সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টির আপোষ নিস্পত্তি হয়। এ শালিসী বিচারে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে নিস্পত্তির বিষয়টি লিখিত রয়েছে।”
এ ব্যাপারে ২৭নং ওয়ার্ডের গোটাটিকর এলাকায় কৃষানপুরের শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের ইনচার্জ সুনন্দন কানাই বলেন, “আমরা শালিসি বিচারে বসেছিলাম এবং বিচারে নিস্পত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জানিয়েছি। তাঁরা এই নিস্পত্তিতে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশিষ্ট মুরব্বি আজিজুর রহমানকে ও গত রবিবার আমাদের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি
শালিসী বিচারে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আজিজুর রহমান বলেন, “আমরা গত ২০শে এপ্রিল অত্র এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ও দু’পক্ষের লোকজনকে নিয়ে শালিসী বিচারে বসেছিলাম এবং উভয় পক্ষই আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। গতকাল ইসকনের কর্তৃপক্ষ আমার কাছে এসেছিলেন এবং যে তাঁরা এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন।”
রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশনে একটি আবেদন, শালিসি বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে লিখিত, রাস্তার একটি ম্যাপ, জায়গার দলিল ও পর্চা উপস্থাপন করেন ১৫টি পরিবারের পক্ষে সিন্টু রঞ্জন চন্দ এবং তিনি ইসকনের প্রতিবন্দকতা বেআইনী সামাজিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন।