শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার, বোগলা, লক্ষীপুর, সুরমা, নরসিংপুর ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চোরাচালানে জড়িয়ে সক্রিয় করে তুলেছে চোরাচালান চক্র।
উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদের টাকার প্রলোভনে ফেলে চোরাচালানের পণ্য পাচার কাজে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লুটছে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। সল্প সময়ে অধিক টাকা রোজগার করায় এসব স্কুল, মাদ্রাসা-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও সামাজিকতা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কেউ-কেউ অভিভাবকদের শাসন মানছে না। আবার কোন কোন অভিভাবক টাকার প্রলোভনে সন্তানদের আরো সক্রিয় করে তুলছে। এলাকার হাট বাজার থেকে শুরু করে
রাস্তা-ঘাটেও এদের বেপরোয়া চলাফেরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন বাংলাবাজার, বোগলা, লক্ষীপুর, সুরমা, নরসিংপুরসহ ৫টি ইউনিয়নে একিই অবস্থা।
জানা গেছে, সীমান্তবর্তী ওইসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেনী-দ্বাদশ শ্রেনী পুড়য়া প্রায় ২০% শিক্ষার্থী বছরে ঝড়ে পড়ছে।
ঝরেপড়া এসব ছাত্রের একটি অংশ গরু, চিনি, সুপারি, পিয়াজ, বিড়িসহ নানান পণ্য পাচারের কাজে জড়িয়ে প্রতিদিন সক্রিয় হচ্ছেন। আবার অনেকেই বেশি টাকার লোভে সর্বনাশা মাদক সরবরাহ কাজেও জড়িত হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, সীমান্তে চোরাচালানের কাজে উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ মোটরসাইকেলে বস্তা বেঁধে মাদকদ্রব্য ও চিনির বস্তা এনে চোরাকারবারি মাফিয়াদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়। আবার কেউ একই কায়দায় বাংলাদেশ থেকে নানা জাতের পণ্য সীমান্তের ওইপাড়ে ভারতীয় এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে। কেউ কেউ গরু মহিষ হেটে নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় নিচ্ছে। কেউ আবার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ বালতির মাধ্যমে কাঁদে করে সীমান্ত পারা পারে কাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চোরাকারবারে নিয়োজিত যুবকদের, অনেকেই গত এক বছরে নিজেরাও হয়ে উঠেছে একেক জন চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য ও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক।
দোয়ারাবাজার থানা (ওসি) বদরুল হাসান বলেন, কম বয়সী স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চোরাকারবারে জড়িত করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরো সচেতন করবো। পুলিশ চোরাচালান বন্ধে বদ্ধপরিকর।