জুড়ী থেকে সংবাদদাতা :
ভারতে অনুপ্রবেশ করায় গরু চোর সন্দেহে এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা এবং অপর এক বাংলাদেশীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্তের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার পুঁথনি চা বাগানের চম্পাবাড়ী এলাকায় ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম রনজিত রিকমন (৩০)। সেজুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক এবং বাজারটিলা এলাকার বাসিন্দা রশিক লাল রিকমুনের পুত্র। আহত মলেন মুন্ডা (৩২) একই উপজেলার শিলুয়া চা বাগানের ফাঁড়ি কুচাই চা বাগানের মৃত গাজু মুন্ডার পুত্র। অপর দুইজন ভারতীয় নাগরিক। ভারতের করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয় এবং আহতরা এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন লাঠিটিলা সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার ল্যান্স নায়েক জাকির হোসেন জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানায় বাংলাদেশের দুইজন লোক ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু চুরিকালে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। এতে এক জন বাংলাদেশী নিহত এবং অপরজন আহত হয়। বিএসএফ নিহতের লাশ আনতে বলে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বিএসএফ আমাদের দু’টি ঠিকানা দেয়। আমরা দুই দিন তন্ন তন্ন করে খোঁজে ঠিকানার কোন অস্তিত্ব পাইনি। তাদের দেয়া নাম, ঠিকানা সঠিক ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজার-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো: শহীদুল্লাহ বুধবার বিকেলে বলেন, বিএসএফ বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। তবে ভুল তথ্যের কারণে নিহত ও আহতের পরিচয় বের করা যায়নি। বর্তমানে পরিচয়ের বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ দেশে আনা হবে।
এদিকে গতকাল বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় তাদের ছবি ও পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত রনজিত পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস নিশ্চিত করেন। এছাড়া মলেন মুন্ডার পরিচয় নিশ্চিত করে কুচাই এলাকাবাসী বলেন, সে উপজেলার পূূর্বজুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি এলাকায় বিয়ে করে সেখানে শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করতো।