শিক্ষার্থী বেড়েছে আলিয়ায় দারিদ্র্য বেড়েছে কওমিতে

37

কাজির বাজার ডেস্ক

বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবক সন্তানদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসা বেছে নিয়েছেন। দেশে বর্তমানে মূলধারার মাদ্রাসা রয়েছে দুই ধরনেরÑআলিয়া ও কওমি। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসাগুলোর তথ্য সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ শিক্ষাতত্ত¡ ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২২ অনুযায়ী বর্তমানে আলিয়া মাদ্রাসাগুলোয় ইবতেদায়ি (প্রাথমিক সমমান) থেকে কামিল (স্নাতকোত্তর সমমান) পর্যন্ত ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে, যা ২০ বছরে সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে এসব মাদ্রাসায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ৩৮ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন। সে অনুযায়ী গত চার বছরে আলিয়া মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৪ জন বা ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
আলিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি শিক্ষার্থী বেড়েছে কওমি মাদ্রাসায়ও। দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে ছয়টি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বৃহত্তম হিসেবে ধরা হয় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশকে (বেফাক)। এ বোর্ডের অধীন মাদ্রাসাগুলোয় গত তিন বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় এক লাখ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলিয়া মাদ্রাসা ও স্কুলের পাঠ্যপুস্তক এখন একপ্রকার অভিন্ন। গত কয়েক বছর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের একাংশ মেডিকেল, বুয়েটসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন। আবার কিছু কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে বিদেশী কিছু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি থাকায় সেখান থেকেও অনেকে সরাসরি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আবার খরচ কম হওয়ায় দরিদ্র অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাকেই বেছে নিচ্ছেন। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি এসব বিষয়ও এখন মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থী বাড়ানোয় ভ‚মিকা রাখছে বলে মনে করছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারুল আরকাম আল ইসলামিয়ার শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের মধ্যে ধর্মভীরুতা বেড়েছে, ফলে তারা সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাইছে। এছাড়া এখন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। যেমন আমাদের মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞান ল্যাবসহ উন্নত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমাদের শতাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তাদের দেখে অন্যরাও মাদ্রাসায় ভর্তিতে উৎসাহিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে তুলতে এমন আরো অনেক মাদ্রাসাই ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আগে একটা ধারণা ছিল মাদ্রাসায় পড়ে শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারবে না, এখন সেটি আর নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা সন্তানকে কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে চান; বর্তমানে তাদের জন্য এসব সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন মাদ্রাসাও রয়েছে। আবার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও স্বল্প ব্যয়ের মাদ্রাসা রয়েছে। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা এখন আর কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীতে আবদ্ধ নেই।’
ধর্মীয় শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানোয় বড় ভ‚মিকা রাখছে বলে মনে করছেন সিলেটে অবস্থিত কওমি মাদ্রাসা বোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশের সদর (প্রধান) শায়খ মাওলানা জিয়া উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে ধর্মীয় শিক্ষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ কারণেই দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে আযাদ দ্বীন এদারা চলমান শিক্ষা কার্যক্রম নতুনত্ব আনার চিন্তা করছে।’
অভিভাবকদের বড় একটি অংশ জানিয়েছেন, করোনাজনিত দুর্বিপাক ও এর পরবর্তী সময়ে অনেকেরই আর্থিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সক্ষমতা না থাকায় সন্তানদের কওমিতে পাঠাচ্ছেন তারা।
এমনই এক অভিভাবক ল²ীপুর সদরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী। চার সন্তানের মধ্যে তিনজনকেই পড়াচ্ছেন কওমি মাদ্রাসায়। পেশায় দিনমজুর মোহাম্মদ আলীর ভাষ্য হলো সন্তানদের একসঙ্গে স্কুলে পড়ানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা তার নেই। ব্যয় কম হওয়ায় সন্তানদের শিক্ষার জন্য কওমি মাদ্রাসাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
ইয়াকুব আলী জানান, করোনার আগে তার বড় ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এবং মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে পড়েছে। কিন্তু করোনাকালে তাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘ওই সময় টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়ানো হলেও আমাদের সে সামর্থ্য ছিল না। এছাড়া অনেকদিন কাজ না থাকায় করোনার পর ধার-দেনা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ছেলে পড়ালেখা ছেড়ে একটা দোকানে কাজ শুরু করে। আর মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। এরপর বাকি দুই মেয়েকেও মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি। স্কুলে পড়াতে গেলে খরচ অনেক বেশি। তাই আমাদের জন্য মাদ্রাসাই সুবিধাজনক।’
মাদ্রাসা শিক্ষায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। বিভাগটিতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৪। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী রয়েছে ঢাকায় ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ জন। এছাড়া রংপুরে ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬৬ জন, বরিশালে ৩ লাখ ২২ হাজার ৩৮৬, রংপুরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৮৬, ময়মনসিংহে ২ লাখ ১৪ হাজার ২০১, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪০১ এবং সিলেটে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৩ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) জিয়াউল আহসান বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষায় গত কয়েক বছরে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। এখন স্কুলের শিক্ষার সঙ্গে পার্থক্য নেই। উন্নত সুযোগ-সুবিধাসহ অনেক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কারণেই শিক্ষার্থী বেড়েছে। আর আমরা মূলত আলিয়া মাদ্রাসা নিয়ে কাজ করি, তাই কওমি মাদ্রাসার বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। অনেকেই ধর্মীয় জায়গা থেকেই সন্তানদের পড়াচ্ছেন। আবার দেখা যায় অনেক কওমি মাদ্রাসায় ব্যয় কম এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ স্বল্প ব্যয়ের কারণেও হয়তো নিম্ন-আয়ের মানুষরা এখন কওমি মাদ্রাসা বেছে নিচ্ছেন।’
দারিদ্র্য ও সাধারণ শিক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোয় বড় ভ‚মিকা রাখছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরাও। তাদের ভাষ্যমতে, দেশে শিক্ষা খাতে বাজেট কম হওয়ায় এবং শিক্ষা ব্যয় ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা-পরবর্তী সময়ে অনেক অভিভাবক সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন।
এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে আমাদের দেশে শিক্ষায় বাজেট পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষা ব্যয়ও ক্রমেই বাড়ছে। আবার করোনা-পরবর্তী সময়ে অনেক পরিবারের আয় কমে গেছে। হয়তো এসব কারণে অনেকেই স্কুলের পরিবর্তে সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন।’
মফস্বলের মতো রাজধানীতেও নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ এখন সন্তানকে কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করাচ্ছেন। রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট বা ফ্ল্যাটের এক-দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে। এসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। কম খরচে পড়াশোনা ও বসবাসের ব্যবস্থা থাকায় তারা সন্তানের লেখাপড়ার জন্য কওমি মাদ্রাসাকে বেছে নিয়েছেন।
রিনা আক্তার নামে এক নারী বলেন, ‘অন্যের বাসায় আর রেস্টুরেন্টে কাজ করে সংসার চালাই। সকালে বের হই আর সন্ধ্যায় ফিরি। ছেলেটাকে দেখাশোনার মানুষ নেই। একা বাসায় রেখে গেলে চিন্তায় থাকতে হয়। তার চেয়ে পাশের মাদ্রাসায় দিয়েছি। পড়ালেখাও হচ্ছে, আবার থাকা নিয়েও চিন্তা নেই।’
আলিয়া মাদ্রাসাগুলোয় গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি হারে শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রাক-প্রাথমিক (ইবতেদায়ি) পর্যায়ে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী সংখ্যা গত পাঁচ বছরে বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০১৮ সালে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল ৩৫ হাজার ৮৪৯ জন। ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৬৩১ জনে। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। যেসব জেলায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, ল²ীপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, বাগেরহাট, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর ও গাইবান্ধা। প্রতিটি জেলায়ই গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। আবার জেলাগুলোয় গত কয়েক বছরে তুলনামূলক ব্যয়বহুল কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার সংখ্যাও বেড়েছে, যা স্থানীয় উচ্চবিত্তদেরও আকৃষ্ট করছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাদ্রাসা পরিদর্শক প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বৃদ্ধির পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ২০১৪ সাল থেকে স্কুলে যেসব বই পড়ানো হয়, আলিয়া মাদ্রাসাগুলোয়ও সেই একই বই পড়ানো হয়। শুধু স্কুলের তুলনায় অতিরিক্ত পড়ানো হয় ধর্মীয় চারটি বিষয়। অর্থাৎ যারা মাদ্রাসায় পড়ছে, তারা স্কুলের তুলনায়ও বেশি শিখছে। দ্বিতীয়টি হলো ধর্মীয় বিষয়। সব অভিভাবকই চান সন্তান ধর্মীয় শিক্ষায়ও শিক্ষিত হোক। এ কারণেও অনেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করছে। তৃতীয় বিষয়টি হলো সামাজিক দিক। সাধারণত যে ছেলে বা মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে তাকে সমাজে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়, এ কারণেও অনেক অভিভাবক সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। আর কওমির বিষয়টি বলা কঠিন। তবে এখানে শিক্ষা ব্যয়ের বিষয়টির বড় একটি ভ‚মিকা থাকতে পারে।’
রংপুর জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কওমি মাদ্রাসা আছে দুই শতাধিক। কামিল মাদ্রাসা আছে পাঁচটি, ফাজিল মাদ্রাসা আছে ৩০, আলিম মাদ্রাসা আছে ২৬, দাখিল মাদ্রাসা আছে ১৯২টি। গত পাঁচ বছরে জেলাটিতে মাদ্রাসার সংখ্যা ও শিক্ষার্থী দুটোই বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রংপুরের ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মোকাররম মডেল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম হাদীউজ্জামান বলেন, ‘অনেক অভিভাবক চিন্তা করেন যেহেতু স্কুল ও মাদ্রাসার মান একই তাহলে সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ানো ভালো। এতে আধুনিক শিক্ষার বিষয়গুলোর পাশাপাশি তারা ধর্মীয় শিক্ষায়ও শিক্ষিত হতে পারবে।’
মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হওয়ায় শিক্ষার্থী বাড়ছে। মাদ্রাসাগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। কম্পিউটার ল্যাব নির্মিত হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা রাখছে।’
সরকারের শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য হলো গোটা শিক্ষা খাতে সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ বেড়েছে। এরই অংশ হিসেবে মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দেশে সামগ্রিকভাবেই শিক্ষায় অংশগ্রহণ বেড়েছে। এরই অংশ হিসেবে আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বেড়েছে। আলিয়া মাদ্রাসায় যেহেতু মূলধারার শিক্ষা চর্চা হচ্ছে, এখানে শিক্ষার্থী বৃদ্ধিও ইতিবাচক। আর কওমি মাদ্রাসার তথ্যের বিষয়ে আমি এ মুহ‚র্তে অবগত নই। তথ্য না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’