স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সকল জয়িতাই আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস্য। বাংলাদেশের অসংখ্য নারীর অন্তরে অনুপ্রেরণার বীজ বুনে দেবেন এ জয়িতাবৃন্দ। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। সিলেটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গলবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি’র সভাপতিত্বে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সৈয়দ হারুন অর রশীদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাকিয়া আফরোজ, জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কর্মসূচির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীবান্ধব সরকার উন্নয়নে নারীদের সম্পৃক্ত করতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে কেয়া খান বলেন, সমাজে প্রতিক‚লতা অতিক্রম করে যে নারী তাঁর কাজের মাধ্যমে উজ্জীবিত তাঁদের সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও সরকার নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ সুরক্ষা প্রদানে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এজন্য নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের জন্য বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
সিলেট বিভাগের পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতাগণ নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী আছমা কামালী শান্তা, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার বেগম, সফল জননী নারী কমলী রবিদাশ, সমাজ উন্নয়নের জন্য স্বপ্না রানী দেব বর্মা। বিজ্ঞপ্তি