হবিগঞ্জে শীতজনিত রোগে এক সপ্তাহে ১৫ নবজাতকের মৃত্যু

5

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে শীত। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত এক সপ্তাহে ১৫ নবজাতকসহ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার একদিনে হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিটে (স্ক্যানু) পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
একসপ্তাহে এখানে মারা গেছে ১৫ নবজাতক। এছাড়াও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বুধবার মারা গেছে এক শিশু। বর্তমানে শিশুরোগীর চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বর্তমানে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের ১১ সিটের বিপরীতে ভর্তি আছে ৭৫ জন।
সরেজমিনে শনিবার সকালে হাসপাতালের স্ক্যানুতে গিয়ে দেখা গেছে, নবজাতক কোলে অবিভাবকদের লম্বা লাইন। সেখানে হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। নবজতাকদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের সিলেটে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্টারে শনিবার ভর্তি ছিল ৯৬ শিশু। অথচ সেখানে সিট আছে ৫৯টি। ভর্তি রোগীর অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত। সেখানে নার্সরা রোগীদের নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের নার্স জোৎনা আক্তার জানান, হাসপাতালে ভর্তি শিশু রোগী বেশিরভাগ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত। হাসপাতালের নার্সরা যথার্থ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হবিগঞ্জ সদরের আনন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, গত দুইদিনি আগে তাঁর স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এখন বাচ্চা ঠাÐাজনিত রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস জানান, তীব্র শীতে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। অভিবাবকরা সচেতন না হলে শিশুদের অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের বাবা-মাকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।