কাজির বাজার ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে কোনো পাত্তাই পায়নি তৃণমূল বিএনপি। বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন দলটির দুই শীর্ষ নেতা। সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এ ছাড়া নির্বাচনের শুরু থেকে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করা প্রার্থী দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারেরও ভরাডুবি হয়েছে। তিনি পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট। বিএনপির সাবেক নেতাদের হাতে গড়ে ওঠা দল তৃণমূল বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল ১৩৭ আসনে। দলটির চেয়ারপারসন বিএনপির সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। সমঝোতার মাধ্যমে তাঁরা বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমন গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট। এই আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। আসনটিতে মোট তিন লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন দুই লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন।
এদিকে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে হেরেছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে ৫০ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নাহিদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬০৪ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী।
তিনি সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে বেসরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।