মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) জনসমর্থনে এগিয়ে আ.লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এ আসনে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায় এম এ মান্নানের অনেকটা সহজ ও প্রত্যাশিত বিজয় অপেক্ষা করছে। উন্নয়নের পক্ষে মানুষের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ হতে যাচ্ছে ভোটের মাধ্যমে। এখন শুধু নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার পালা। এর আগেও তিনি টানা ৩ বারের নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন এবং এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এবার নির্বাচিত হলে তিনি ৪ বারের মতো নির্বাচিত হবেন।
এবারের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি (নৌকা), তৃণমুল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী তৌফিক আলী মিনার (লাঙ্গল) ও যুক্তফ্রন্টের শরীকদল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী তালুকদার মকবুল হোসেন (কাঁঠাল)।
বিভিন্ন কারণে মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী পিছিয়ে আছেন। এর মধ্যে অতীতে মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী চারদলীয় জোটের শরীকদল জমিয়ত থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার তিনি জমিয়ত থেকে বহিস্কৃত হয়ে নব-গঠিত তৃণমুল বিএনপি থেকে সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এতে তিনি রীতিমতো বেকায়কায় পড়েছেন। নতুন দল হওয়ায় জগন্নাথপুরে তৃণমুল বিএনপির পরিচিতিও কম। ফলে তিনি পিছিয়ে পড়েছেন বলে ভোটারদের মধ্যে অনেকে জানান।
অপর প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত তৌফিক আলী মিনার একজন নতুনমুখ। জাতীয় পার্টির অবস্থানও শক্তিশালী নয়। অভিরাম প্রচারণা থাকলেও ভোটযুদ্ধে পিছিয়ে আছেন তিনি। আরেক নতুনমুখ প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি মনোনীত তালুকদার মকবুল হোসেনের তৎপরতা তেমন একটা দেখা যায়নি। ফলে তিনি নির্বাচনী মাঠ জমাতে পারেননি। ৬ জানুয়ারি শনিবার সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জগন্নাথপুর উপজেলা অংশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবীণ ও নবীন ভোটারদের সাথে পৃথক পৃথক ভাবে আলাপকালে শাহীনুর রহমান, আবদুল কাদির. রমিজ উল্লাহ, শায়েস্তা মিয়া, আকবর আলী, মনু মিয়া, নির্মল দাস, সত্যবান গোপ, অনন্ত পাল সহ অনেকে এভাবেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না বলেন, জগন্নাথপুরের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এমএ মান্নানের বিকল্প নেই। তাই এবারের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে এমএ মান্নানের মতো একজন সজ্জন মন্ত্রী পেয়েছি। তাঁর হাত ধরে উপজেলার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তাই রাত পোহালেই ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাঁর ঋণ শোধ করতে চাই। পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নৌকার বিজয় হবে বলে আমি আশাবাদী। রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এমএ মান্নানের হাত ধরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে রাণীগঞ্জে। তাই এবার নৌকার সহজ বিজয় হবে। আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো.আইয়ূব খান জানান, আমাদের উন্নয়নের স্বার্থে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।