হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল শৈলেন বর্মন (৭০) নামে এক লন্ড্রী ব্যবসায়ীর। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শৈলেন বর্মন নাতিরাবাদ এলাকার মৃত সতীশ বর্মনের পুত্র।
পুলিশ জানায়, ওই এলাকার আব্দুল রশিদ ও রঞ্জিত বর্মন নদীর পাড়ে লাকড়ি শুকানোকে কেন্দ্র বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় শৈলেন বর্মন তাদেরকে আটকাতে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা আক্তার নিশি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে জেলার নবীগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আলিফ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর পুর্বে দুপুরে উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের বড় ভাকৈর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ওই গ্রামে খসরু মিয়ার ফিশারিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় বড় ভাকৈর গ্রামের আইন উল্লাহর পুত্র আলিফ মিয়া (৪৫) কে গুরুতর আহত অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি সন্ধ্যায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, বড় ভাকৈর গ্রামের খসরু মিয়ার ফিশারি ৩ বছর যাবত লিজ নিয়ে আকবর উল্লাহর পুত্র আজাদ মিয়া (৫৫) মাছ চাষ করে আসছে। উক্ত ফিশারিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মাসুক মিয়া পিতা মৃত জাহিদ উল্লাদের সাথে বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে আজাদ মিয়ার পক্ষে হামলায় নিহত আলিফ মিয়াগং এবং মাসুক মিয়ার পক্ষে তোহেল মিয়া গংদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলিফ মিয়া মারা যান।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুক আলী বলেন, এখনো কোন মামলা হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।