কাজির বাজার ডেস্ক
গত ৭ অক্টোবর থেকে গত শুক্রবার সকাল সাময়িক যুদ্ধবিরতির শুরু পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৪০ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল। গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, গাজাকে বসবাস অযোগ্য করে তোলার উদ্দেশ্যেই এমন হামলা।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার মানবিক যুদ্ধ বিরতির তৃতীয় দিন গতকাল রোববার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে বিবৃতি দিয়েছেন গণমাধ্যম কার্যালয়ের প্রধান সালামা মারুফ। বিবৃতিতে মারুফ বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী উপত্যকায় ৪০ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে। ক্যামেরায় যা ধরা পড়েনি সেসব ধ্বংসযজ্ঞ এখন স্পষ্ট হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দখলদারবাহিনীর ব্যবহৃত বোমাগুলো আগে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। শত শত শহীদ নিহত হওয়ার স্থানেই চাপা পড়ে আছেন। এ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বোঝা যায়, তাদের উদ্দেশ্যই ছিল গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা।’ বিবৃতিতে মারুফ অস্থায়ী যুদ্ধ বিরতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধ বিরতির দিনগুলোতে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো ও বাসস্থানগুলো দেখে গণহত্যার ভয়াবহতা বোঝা যাচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক মহলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এখনও প্রয়োজনীয় সরবরাহ পায়নি। এখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর অনুপস্থিতিও স্পষ্ট।’ এখানে একটি বড় ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন মারুফ।