সুনামগঞ্জ ৩ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি

3

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর

জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ ৩ আসন। বিগত নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ এমএ মান্নান এমপি পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরপর তিন বার নির্বাচিত হন। এবার চার বারের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হতে আ.লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে-সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে প্রার্থী হতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ আবদুস সামাদ আজাদের পুত্র কেন্দ্রীয় আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভ‚রাখালি গ্রামের বাসিন্দা। অপরদিকে-সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্য আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্বাচনের আগে থেকেই ও আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কমবেশি এই তিন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা মাঠে সরব রয়েছেন। তাঁরা তিন জনই দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার দাবিদার। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে এক জনকে দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়ে নির্বাচনে পাঠাবেন। তাই আগামী নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে আশা-নিরাশা সহ নানা গুঞ্জন বিরাজ করছে।
২০ নভেম্বর সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্না বলেন, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নে এমএ মান্নানের বিকল্প নেই। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে পুনরায় দলীয় প্রতীক নৌকা উপহার দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। উপজেলার আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আইয়ূব খান বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে আবারো এমএ মান্নানকে চাই। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী আবদুল জব্বার বলেন, জনপ্রিয়তায় আজিজুস সামাদ আজাদ ডন এগিয়ে আছেন। তাঁকে নৌকা দিয়ে পাঠালে সহজ জয় হবে। এরপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাঁকে নৌকা দিয়ে পাঠাবেন, আমরা তার পক্ষে কাজ করবো। যদিও দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, আমি তৃণমুল আ.লীগের একজন কর্মী। আমি জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জবাসীর সুখ-দুঃখে পাশে ছিলাম ও আছি। আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় প্রতীক নৌকা উপহার দিবেন।