বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা
বিয়ানীবাজারে জনতার সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য আটক হওয়ার পর মুচলেখা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়ি বলে আটককৃতরা জানিয়েছে।
প্রায় দুই বছরের বেশী সময় থেকে তারা বিয়ানীবাজারসহ প্রতিবেশী উপজেলাগুলোতে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। এখানকার গ্রামেগঞ্জে ক্রমেই তাদের বিস্তার বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সূত্র জানায়, স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে ইলেকট্রনিক পণ্য পাওয়ার লোভ দেখিয়ে তারা অভিনব প্রতারণামুলক এই কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল তারা। একটি স্ক্র্যাচ কার্ডের মূল্য ২শ’ টাকা। নির্ধারিত টাকা দিয়ে স্ক্র্যাচ কার্ড ক্রয় করার পর যে পণ্য পাওয়া যেত তা আবার নগদ ৬ হাজার টাকা মূল্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান থেকে নিয়ে যেতেন গ্রাহকরা।
শনিবার বিকেলে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কলেজ রোডে জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে স্ক্র্যাচ কার্ড ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে বিপত্তি বাঁধে। তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এমন খবর পেয়ে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছয়ফুল আলম ঝুনু, কাউন্সিলার সায়েক আহমদ ও কাউন্সিলার এহসানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে সকল বিষয় অবগত হন। প্রতারকচক্রের কাছ থেকে তারা জানতে পেরে দাসগ্রামের দু’টি বাসায় অভিযান চালান। তখন ওই বাসা দু’টি থেকে বিপুল পরিমাণ স্ক্র্যাচ কার্ড, প্রতারণার লোভনীয় অফার সম্বলিত বিপুল প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে মিরাজ (২৩), জীবান আহমদ (৪৫), শরীফ (৩৪), মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম (৩৩) ও রাকীব (৩০)। চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জীবান আহমদ নামের এক ব্যক্তি তাদের বিয়ানীবাজারে নিয়ে আসেন। ভবিষ্যতে তারা আর এসব কর্মকান্ডে জড়াবেনা বলে প্রতিশ্রæতি দেয়।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছয়ফুল আলম ঝুনু বলেন, আটককৃতরা অনুশোচনা বোধ করায় এবং বিয়ানীবাজার ছেড়ে যাবে মর্মে অঙ্গিকার করায় মুছলেখা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।