মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ মুখের কথা নয়, উন্নয়ন চায়। আমরাও উন্নয়ন করছি। আমরা হরতাল নৈরাজ্য চাই না। কোন বিবাদ চাই না। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। শেখ হাসিনায় আস্থা রাখুন আরো উন্নয়ন পাবেন। তিনি বলেন, বিশ্বাবাসী শেখ হাসিনাকে সম্মান করে। তবে দেশের একটি গোষ্ঠী বিরুদ্ধে কথা বলে। তা কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, আ.লীগ ইসলামের নামে ব্যবসা করে না, ইসলাম চর্চা করে। সুতরাং ধর্মের দোহাই দিয়ে কাজ হবে না। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের জোরালো প্রতিবাদ করছেন শেখ হাসিনা। এটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, জনরায় মানলে নির্বাচনে আসুন। দেশের জন্য আপনারা কি করেছেন এবং আমরা কি করেছি ভোটের মাধ্যমে মানুষ রায় দিবেন। অযথা দেশে গন্ডগোল করে লাভ হবে না। তিনি বলেন শেখ হাসিনার কৌশলের কাছে হেরে গিয়ে বিএনপি নেতারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই এখন তারা মারামারি ও আগুনের পথ বেছে নিয়েছে।
৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সুনামগঞ্জর জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর বাজারে গ্রামীণ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবাহ প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন এবং যথা সময়ে মানসম্মত কাজ উপহার দেয়ায় মন্ত্রী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভ‚য়সি প্রশংসা করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র সাহদাত মান্নান অভি। আশারকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবদুছ সত্তার এর সভাপতিত্বে এবং আলা উদ্দিন ও আবু বকর খানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূব খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মুকিত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলী আহমদ, রায়ান কামালী শিপু, মঞ্জুর আহমদ, আজির উদ্দিন, শফিকুল হক, ইছরাইল মিয়া প্রমূখ।
এ সময় সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, সুনামগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাজেদুল ইসলাম, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন, ডা. মোহাম্মদ আলী রুবেল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্যাণ কান্তি রায় সানি, সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমদ সহ দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কয়েক হাজার নারী-পুরুষ জনতার উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে আশপাশ এলাকা। এতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল নৌকার আদলে সভামঞ্চের দৃশ্য।
এছাড়া মন্ত্রী পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাকবলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন এবং শাহারপাড়া-নারায়নপুর আরসিরি সড়কের উদ্বোধন ও শাহারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।