কমলগঞ্জ সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় শমশেরনগর-মনু রেল স্টেশনের মাঝখানে রেলগেট এলাকায় সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ২০ মিনিট আটকা পড়ে। খবর পেয়ে রেল কর্মচারী ও ট্রেনের কর্মচারীদের মাধ্যমে পানি, বালি ও কাঁদা ফেলে ট্রেন ছেড়ে যেতে সক্ষম হয়। রবিবার বিকেল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ৩টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত এ ট্রেন আটকা পড়ে।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমের কারনে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠে। দিনভর রোদ ও গরমের কারনে রেললাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে পড়ে। আঁকা-বাঁকা হওয়া লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘœ দেখা দেয়। ৭১৯ নম্বর সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ২টা ৪৭ মিনিটে শমশেরনগর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে প্রায় তিন কি.মি. দূরে যেতে ৭ মিনিট সময় লাগে। শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট এলাকায় যাওয়ার পর ট্রেনের গতি হ্রাস পায় এবং এক পর্যায়ে ট্রেন আটকা পড়ে। এসময়ে ট্রেনের কর্মচারী নেমে ও খবর পেয়ে রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট সময় ধরে পানি, বালি ও কাঁদা রেললাইনে ছিটিয়ে দেন। পরে লাইন ঠান্ডা হওয়ার পর ৩টা ১৪ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যায়।
রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী মিস্ত্রি রিপন মিয়া বলেন, গরমে হীট হয়ে রেল লাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌড়ে সেখানে গিয়ে পাশর্^বর্তী ছড়া থেকে পানি, বালি ও কাঁদা ছিটিয়ে দেই। পরবর্তীতে ট্রেন ছেড়ে যায়।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার উত্তম দেব বলেন, সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে থাকলে অনেক সময় রেলপথ বাকলিং হয়ে পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারনে রেলগেট এলাকায়ও রেলপথের কিছু লাইন বাকলিং হওয়ায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আটকা পড়ে।