সিলেটে মাছ ও ডিমের দামে নেই স্বস্তি

4

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদার অন্যতম উৎস মাছের দামে নেই স্বস্তি। ডিমের দামও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আবার খুচরা বাজারে ডিম হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
শুক্রবার সরেজমিনে বন্দরবাজারে লালবাজার ও আশপাশের বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মাছের দাম বেশি। বাজারে দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, চাষের রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ ছোটো বড় ভেদে কেজি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, বাইলা ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা। এছাড়া গরিবের মাছ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
দাম বেশি থাকা প্রসঙ্গে লালবাজারের বিক্রেতা মঈনুল হক জানান, আমাদের এখানে বেশিরভাগই মাছ ভালো মানের ও দেশি জাতের, তাই দামটা বেশি। যে আড়ত থেকে মাছ আনা হয়, সেখানেই দাম বেশি। আর আগের চেয়ে সাপ্লাই কিছুটা কমে গেছে। অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। নগরীর মজুমদারি এলাকার আবির হাসান জানান, মাছের এতো দাম দেখে অবাক হয়ে গেছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না। প্রতিটি পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। সংসার চালানো অতি কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেক ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, এসেছিলাম একটু বেশি করে মাছ কিনে নিয়ে যেতে। তবে যে দাম, সেক্ষেত্রে হয়ত বাজেটের অর্ধেক কিনতে হবে।
অপরদিকে ডিমের দামও রয়েছে বাড়তির দিকে। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, দেশি ডিম ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ২১০ টাকায়। এসব ডিম আবার খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে গেলে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়।
গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, মাংসের দাম আগের মতোই আছে। অন্যান্য দিন কম বিক্রি হলেও শুক্রবারে একটু ভালো বিক্রি হয়।