হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন পুলিশের ফাঁড়িটির অবস্থা নাজুক। জরাজীর্ণ ফাঁড়ি ভবনটির এতটাই খারাপ অবস্থা যে, এটি যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভবনের এমন অবস্থা বলে জানা গেছে। নানা সমস্যার মধ্য দিয়েই এখানে নিজেদের প্রতিদিনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রেলওয়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ১১ জন পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, ব্রিটিশ সরকারের সময় তৎকালীন সদর উপজেলার (বর্তমান শায়েস্তাগঞ্জ) চরনূর আহাম্মদ মৌজায় নির্মিত হয় রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িটি। এর পর আর ফাঁড়িটির বড় ধরনের কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি। সময়ের সঙ্গে ভবনটির যেমন বয়স বেড়েছে, তেমনি দুর্বল হয়ে পড়েছে এটির কাঠামো। এখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের বসবাসের ব্যবস্থা থাকলেও নেই শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। গোসল করতে হলেও তাদের যেতে হয় পার্শ্ববর্তী রেলের বড় দিঘিতে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের পেছনে নোংরা পরিবেশ এবং মশার উপদ্রব। বৃষ্টি হলে কোমরপানি জমে যায় আশপাশের এলাকায়। চলাচল করা যায় না দুর্গন্ধের কারণে। এরই মধ্যে কাজ করছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। সবশেষে ২০০৫ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন আধুনিকায়ন ও রি-মডেলিং স্টেশনের কাজ হলেও অজ্ঞাত কারণে এই পুলিশ ফাঁড়িটি উপেক্ষিত হয়।
কাশেম আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অজ্ঞাত কারণে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির কোনো উন্নয়ন নেই। পুলিশ সদস্যরা অনেক কষ্ট করে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। যারা যাত্রীদের নিরাপত্তায় দিনরাত কাজ করছেন, তাদের নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্ত আবাসের জন্য ফাঁড়িটির সংস্কারকাজ অত্যন্ত জরুরি।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আছেন এখানকার পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু এখানে তারাই নিরাপত্তাহীন। ভবন ও পলেস্তারা ধসের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করতে হচ্ছে। এখানে পুলিশ সদস্যদের জন্য মানসম্মত টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। ওজু ও গোসলের জন্য পার্শ্ববর্তী দিঘিতে যেতে হয়। জব্দকৃত মালপত্র সংরক্ষণ এবং অপরাধী রাখার ভালো ব্যবস্থাও নেই।