সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ও নির্যাতিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ এই বৃদ্ধ বয়সে এসে সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েশী রায়ে তিনি গৃহন্তরীন রয়েছেন। বিভিন্ন ঝটিল রোগে আক্রান্ত হলেও তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। শুধুমাত্র বেগম জিয়াই নন, দেশের সাধারণ মানুষ আজ নির্যাতিত। দেশবাসী নিজেদের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে এউ সরকারের পতন নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্টা করা না হলে দেশ এই সংকট থেকে মুক্ত হবে না। তাই অভিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তার উন্নত ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত লিফলেট বিতরণপূর্ব কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পরে কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে লিফলেট বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে কোন দাবী দাওয়া করে লাভ নেই। তারা জনগনের মুখের ভাষা বুঝে না। তাই দাবী এখন একটাই, এই ফ্যাসিস্ট সময় সরকারের পদত্যাগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন নির্দিলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে টালবাহানা করছে। বিরোধী দলের উপর নির্যাতন-নীপিড়ন চালাচ্ছে। দেশবাসী আজ জেগে উঠেছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামিলীগ আবারো দেশে নিশিরাতের নির্বাচন করার দিবা স্বপ্ন দেখছে। জনগন তাদের এই দুঃস্বপ্ন পুরণ হতে দেবে না।
এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন, ইকবাল বাহার চৌধুরী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, এড. আবু তাহের, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, কোহিনুর আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এড. আল আসলাম মুমিন, আফজাল উদ্দিন, আক্তার রশিদ চৌধুরী, দিনার খান হাসু, লোকমান আহমদ, এনামুল কুদ্দুছ, এড. মোস্তাক আহমদ, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, আফসর খাঁন, আব্দুর রহিম মল্লিক, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, আখতার হোসেন, কল্লোল জ্যোতি জয়, সুদীপ জ্যুতি এষ, আব্দুল আহাদ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, শাহীন আলম জয়, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, রুহেল আহমেদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, শামসুর রহমান সুজা, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, বদরুল আলম, ছালিক চৌধুরী, তারেক আহমদ খান, মফিজুর রহমান জুবেদ, মিজান আহমদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, সাব্বির আহমদ, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মখলিস খান, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, ফরহাদ আহমদ, ইফতেখার আহমদ পাবেল, আব্দুস সালাম টিপু, মাসরুর রাসেল, আব্দুস সালাম, আব্দুল মজিদ, ইমাদ আহমদ ইমু, ফয়েজ আহমদ, সাদী হাসান খাঁন, ইয়াসিন আরাফাত, আবুল কালাম বাবু, আবুল কাসেম, রিফল আহমদ, রাসেল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি