জনগণ ভোট দিলে আবার আসবো না দিলে নয় : প্রধানমন্ত্রী

6

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ দিবে। জনগণ ভোট দিলে আবার আসবো, না দিলে নয়। অনেক রক্ত দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুপুর ১২টা ১২ মিনিটের দিকে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার আত্মবিশ্বাস আছে। দেশের উন্নয়ন করেছি। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকট নিরসনে সুইজারল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভ‚মিকা পালনের আহŸান জানানো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিকস জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার আগ্রহের কথা জানাই। আগামী আগস্টে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে জোটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।
করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমি আহŸান করেছিলাম ১ ইঞ্চি জমি যাতে পতিত না থাকে। কানাডা থেকে ২০০ ডলারের গম আমরা ৬০০ ডলারে কিনেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সেক্টরে বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিতে শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, এক কোটি মানুষকে আমরা খাদ্য সহায়তা দেবো। কম দামে খাদ্যদ্রব্য যাতে কিনতে পারে টিসিবির মাধ্যমে সে ব্যবস্থা চালু করেছি। যেন বাজারের উপর চাপ পড়ে। রোজার সময় আমরা ইফতার পার্টি করিনি। রোজার সময় জিনিসের দাম বাড়েনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে যেন অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমে যায়। কিছু লোক মজুতদারি করে দাম বাড়ায়। তখন কিছু বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন পেঁয়াজ আমদানি যখন শুরু করলাম তখন পেঁয়াজের দাম কমে গেল।
মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মজুদদারি-কালোবাজারি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবার ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে, আগামীতে হবে। বর্ষাকালে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে এজন্য আমি আহবান করব সবাই কাঁচা মরিচ কিনে রোদ্দুরে শুকিয়ে রেখে দেন। ফসল সংরক্ষণ করার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবো বিভাগীয় পর্যায়ে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যার যার জায়গায় উৎপাদন করলে কিন্তু আমাদের কষ্টটা কমে যায়। এত উর্বর জমি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। একটা বীজ ফেললেই গাছ হয়। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে শনিবার দেশে ফিরেছেন। এছাড়া ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিকরা যোগ দিয়েছেন।
শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশ সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরছেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।