স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে বন্দুক নিয়ে মহড়া ও হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ তুহিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার তুহিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে। তিনি নগরের লন্ডনী রোড এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।
শনিবার (বিকেল ৩টায় র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান-আল-আলম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তুহিনকে র্যাব শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও তিনি র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিল। গত ৮ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহর বাসার সামনে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সিলেট মহানগর এয়ারপোর্ট থানায় ১০ জুন মামলা হয়।
তুহিন সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খানের অনুসারী।
সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ গত শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়া বিমানবন্দর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ওই মহড়ায় অংশ নেওয়া তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
