বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
শেষ পর্যায়ে হাওরের বোর ধান কাটা, মাড়াই খলাতে ধান শুকানো ও ধানে চিঠা পরিষ্কারে এখন ব্যাস্ত রয়েছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহে ধান মাড়াই খলা থেকেও কৃষকের গোলায় পৌছে যাবে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়া। এমনটাই জানা গেছে হাওর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের বোর ধান রোপনকারী কৃষকদের কাছ থেকে।
শুক্রবার সকালে শনি হাওরের অভ্যন্তরে কৃষকদের ধান কাটার সরজমিন খোজ খবর নেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা। ফিরতি পথে তাহিরপুর সদর ইউনিয়স্থ শনির হাওর পাড়ে কথা হয় তাহার সাথে। সে সময় তিনি জানান, তিনি সকালে উপজেলা পরিষদের সামনের জাঙ্গাল ধরে শনির হাওরের মধ্যে বাদশা মিয়া খলা হয়ে পূর্ব দিকে কান্দার জাঙ্গালের পথ ধরে বান্ডাকোনা, জয়নগর, বীরনগর গ্রামের সামনে শনির হাওরের ৫/৬ কিলোমিটার বিভিন্ন অংশে ধান কাটার খোজ খবর নেন। হাওরে কাটার মত তেমন আর ধান নেই বলেও তিনি জানান।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে ধান মাড়াই খলায় ধান শুকানো ও ধান পরিষ্কারে ব্যাস্ত রয়েছেন কৃষক। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাড়াই খলাতেও ধান শুকানো ও উড়ানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এমনটাই জানালেন হাওরপাড়ের একাধিক কৃষক। ইতি মধ্যে অনেক কৃষকের ধানা কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ শেষ। শনির হাওরপাড় মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া। তিনি তার পরিবার সহ ধান পরিষ্কারের কাজ করছেন শুক্রবার ভোর থেকেই। সেময় তিনি জানান, প্রতিদিন রোদ থাকায় ধান শুকাতে তার কোন প্রকার হিমশিম খেতে হয় নি। এখন শুধু ধান পরিষ্কার করতে পারলেই ধান গোলায় তুলবেন। উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক নাজমুল হুদা, তিনি জানান, হাওরে এখন আর কাটার মত তেমন ধান নেই। যে ধান আছে তা কটাতে বড়জোড় আর এক দুদিন লাগবে। সে সময় তিনি আরো বলেন তিনি এবার ৩ একর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করেছিলেন। দুদিন পূর্বেই তিনি ধান কেটে শুকিয়ে গোলায় তুলেছেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া সহ সব কটি হাওরে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে, ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। ভালো ফলনের কৃষকরে মুখে হাশি ফুটেছে।