সেমিনারে বক্তাদের অভিমত : সুনামগঞ্জে প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার সবচেয়ে বেশি

12

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

শিক্ষা মৌলিক মানবাধিকার এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলার শিক্ষার অবস্থা একেবারেই বেহাল। শুধু প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা নয়, নেতৃত্ব দূরদর্শিতা, সক্ষমতা এবং আবেগ-বুদ্ধিমত্তা এবং নৈতিকতাও এখানে বড় প্রশ্ন। এই হাওর জনপদে শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা, এমনকি অনেকে মৌলিক শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত। হাওর এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা বা কর্মমুখী শিক্ষার সুযোগ পাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ।
২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় গড় থেকে সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হারের পাঁচটি জেলার একটি সুনামগঞ্জ। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যেও সুনামগঞ্জে সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হার। আবার দেশের মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার সুনামগঞ্জে সর্বাধিক। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার। বিশেষ আলোচক ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রজত কান্তি সোম।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক খলিল রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোনাওয়ার আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বাবুল, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি আশহার ইনতেযাম তাহবির। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চান মিয়া, জেলা সিপিবি সভাপতি এনাম আহমদ, লেখক ও গবেষক কল্লোল তালুকদার, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নাজির আহমেদ চৌধুরী, ডা. মুর্শেদ আলম, দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মশিউর রহমান, জেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ প্রমুখ।