কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ এর ১৪৪৪ হিজরি (২০২৩ ইং)-এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বোর্ডের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সিলেট মহানগরের সোবহানীঘাটস্থ এদারা ভবনের ৪র্থ তলায় কনফারেন্স হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন নাযিমে ইমতেহান (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি। এর আগে এদারা মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীরের কাছে সংক্ষিপ্ত ফলাফল হস্তান্তর করেন তিনি।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী- ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় পাসের হার ৭৬.১৭%। এ পরীক্ষায় সিলেট বিভাগসহ সারা দেশের মোট ৮৫৫টি মাদরাসা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পুরুষ মাদারসাগুলোর ৭টি শ্রেণি ও মহিলা মাদরসাগুলোর ৩টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ফাইনাল (কেন্দ্রীয়) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি জানান, এবারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ৮৫৫টি মাদরাসার মোট ২০ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে মুমতাজ (বৃত্তি) পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৬, ১ম বিভাগ (জা. জিদ্দান) পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১৩, ২য় বিভাগ (জায়্যিদ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৫ ও ৩য় (মাকবুল) বিভাগ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ১৫ হাজার ৫১৯ জন এবং মোট পাসের হার ৭৬.১৭%।
শ্রেণিভিত্তিক ফলাফল অনুযায়ী- হিফজ বিভাগের ১ হাজার ৫২৪ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ৫৮৯, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ৫৮১, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ১২৬ ও ৩য় বিভাগ ৫৩ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩৪৯ জন এবং মোট পাসের হার ৮৮.৫২%।
ফযিলত (বিএ) শ্রেণিতে ১ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ৩৩, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ১৮০, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ২৯৮ ও ৩য় বিভাগ ৩৮৮ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৮৯৯ জন এবং মোট পাসের হার ৮০.৬৩%।
সানাউয়্যাহ উলয়া (এইচএসসি) শ্রেণিতে ১ হাজার ৪১ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ৭৮, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ৩০৭, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ২৯৯ ও ৩য় বিভাগ ২১৮ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৯০২ জন এবং মোট পাসের হার ৮৬.৬৫%।
সানাউয়্যাহ আম্মাহ (এসএসসি) শ্রেণিতে ১ হাজার ১৩৭ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ৭৮, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ৩০০, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ৩০০ ও ৩য় বিভাগ ২৮৭ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৯৬৫ জন এবং মোট পাসের হার ৮৪.৮৭%।
মুতাওয়াসিতাহ (অষ্টম) শ্রেণিতে ১ হাজার ৪৮৭ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ১৬০, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ৪০৫, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ৪০৯ ও ৩য় বিভাগ ৩৩৩ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩০৭ জন এবং মোট পাসের হার ৮৭.৯০%।
ইবতেদাইয়্যাহ (৫ম) শ্রেণিতে ৫ হাজার ৩১৫ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ৩৭৪, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ১ হাজার ৩ ও ৩য় বিভাগ ১ হাজার ৪২৮ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৮৫৩ জন এবং মোট পাসের হার ৭২.৪৯%।
নূরানি (প্রাথমিক) বিভাগে ৫ হাজার ৪৪৬ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন ১৬৪, এ প্লাস পেয়েছেন ৮৯২, এ পেয়েছেন ১ হাজার ১৪৪, এ মাইনাস ১ হাজার ৩০, বি পেয়েছেন ৪৮১ ও সি পেয়েছেন ৩৯ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৭৫০ জন এবং মোট পাসের হার ৬৮.৮৬%।
মহিলা মাদরাসাগুলোর মধ্যে ফযিলত (বিএ) শ্রেণিতে ১ হাজার ১৬ জন ছাত্রী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ২, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ১২০, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ২১২ ও ৩য় বিভাগ ৪৫৩ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৭৬৯ জন এবং মোট পাসের হার ৭৫.৬৯%।
সানাউয়্যাহ (এসএসসি) শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৩ জন ছাত্রী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ১৩, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ১৭৪, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ৩১১ ও ৩য় বিভাগ ৩৫২ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৮৫০ জন এবং মোট পাসের হার ৮০.৭২%।
মুতাওয়াসিতাহ (অষ্টম) শ্রেণিতে ১ হাজার ২৩৯ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন ২৩, ১ম বিভাগ পেয়েছেন ১৪২, ২য় বিভাগ পেয়েছেন ২৪৬ ও ৩য় বিভাগ ৪৬৪ জন। সব মিলিয়ে মোট কৃতকার্য হয়েছেন মোট ৮৭৫ জন এবং মোট পাসের হার ৭০.৬২%।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এদারার সহ-মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক, নাইবে নাযিমে ইমতেহান মাওলানা ইউসুফ খাদিমানি ও মাওলানা সৈয়দ আব্দুর রহমান, নাযিমে তাসনিফ হাফিয মাওলানা ফখরুযযামান এবং নাযিমে তানযিম হাফিয মাওলানা আহমদ কবীর। বিজ্ঞপ্তি