কাজিরবাজার ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে। দেখা দিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বেড়েছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ১৪ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ন্যাচার এনার্জি নামের একটি জার্নালে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। খবর সিএনএনের।
১১৬ দেশে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে হাউজহোল্ড ব্যয় বেড়েছে চার দশমিক আট শতাংশ। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি খরচ বাড়ায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে গরিব পরিবারগুলোতে এরই মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, উচ্চ আয়ের দেশগুলোর পরিবারেও প্রভাব পড়ছে।
কিছু কিছু দেশে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। যেমন এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকে জ্বালানির মূল্য বৈশ্বিক গড় হিসেবের তুলনা বেশি। কারণ এই দেশগুলোতে জ্বালানি নির্ভর শিল্প বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানির মূল্য বাড়ায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এক বছর আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক এক শতাংশ। মার্গারিনের দাম বেড়েছে ৪৪ দশমিক সাত শতাংশ। মাখন ২৬ দশমিক ৩, ময়দা ২০ দশমিক ৪, রুটি ১৪ দশমিক ৯, চিনি ১৩ দশমিক ৫, দুধ ১১ ও মুরগির দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশটিতে ফল ও সবজির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। চলতি বছর পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।