বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ক্লু-লেস একটি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন দিক নির্দেশনায় উপজেলার সীমান্তবর্তী গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া চা বাগানের চা শ্রমিক আরমান আলীর মেয়ে শাহানা আক্তার (২৬) কে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে তিন মাস পর প্রেমিক লালনপাশী (২৩) ও ভিকটিমের দুলাভাই উজির মিয়া (৪২) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে জুড়ি থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের পর হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুড়ি থানা জানিয়েছে। অভিযোক্তদের শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় শিলুয়া চা বাগানের চা শ্রমিক আরমান আলীর মেয়ে শাহানা আক্তার (২৬) গত বছরের ২৭ অক্টোবর বিকালে বাড়ীতে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরেনি। মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবাসহ পরিবার নানা জায়গায় তাকে খোঁজতে থাকে। পরে নিখোঁজের ৩ দিন পর ২৯ অক্টোবর বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃ সীমান্তবর্তী তালগাং নামক নদীর পানির স্রোত দিয়ে একটি নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দিলে থানা অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে থানার এসআই খাইরুল ইসলাম বাদল লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিম শাহানার মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে প্রেমিক লালনপাশী ও শাহানার দুলাভাই উজির মিয়া হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা শাহানা কে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃ সীমান্তবর্তী তালগাং নামক নদীর পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ মামলার তদন্ত কালে ভিকটিম শাহানার মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে তার প্রেমিক লালনপাশী ও ভিকটিমের দুলাভাই উজির মিয়াকে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করি। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে লালনপাশী জানায় হত্যার দুই তিন মাস আগে শাহানার সাথে তার দুলাভাই শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চেষ্টা করে। শারীরিক সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থ হয়ে শাহানার প্রেমিকসহ শাহানা কে সমাজচ্যুত করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে প্রেমিকের সহায়তায় শাহানাকে হত্যার পরিকল্পনা হিসেবে দুই জন মিলে তাকে হত্যা করে। এ মামলায় তাদের দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।