হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী, পুরুষ, সাবেক ইউপি সদস্য এবং পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে ১৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’পক্ষের ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ৭ টায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইকুল মিয়া (৩৮) কে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার এড়াতে আহতরা বানিয়াচং ও হবিগঞ্জে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আটককৃতরা হলেন মাধবপাশা গ্রামের বজলু মিয়ার পুত্র আবিদ মিয়া (২৫) শাহানাজ মিয়া পুত্র মোবাস্বির মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের আব্দুল হাসিম (কটকা) মিয়া ও একই গ্রামের লেবু হাজীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। গত রবিবার রাতে আব্দুল হাসিম কটকা মিয়া গ্রুপের শাজাহান মিয়ার কিশোর ছেলের সাথে লেবু হাজী মিয়া গ্রুপের একজনের ঝামেলা বাঁধে। রাতেই শাজাহান মিয়া তার ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিষয়টি নিয়ে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। স্থানীয় মুরব্বীরা বিষয়টি মিমাংসা করে দিবেন বলে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি সালিশের কথা থাকলেও এর আগেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত মিয়া জানান-পূর্ব বিরোধ থাকলেও রবিবার রাতে শাজাহান মিয়ার ছেলের বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়া। সোমবার সকালে বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান-পুর্ব বিরোধ জের ধরে গতকাল সকালে এই সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের দু”জনকে আটক করা হয়েছে।