সৈয়দ সুজাত আলী :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়েই চলেছে। এছাড়া সবাই নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যকে ভূঁয়া বলছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি। বিশ বছর আগে এখানে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তখন তারা ছিলেন কমিউনিটির শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সেই শ্রদ্ধার জায়গাটি ধুলিসাৎ করে দিয়েছে এই ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধারা।
ভূঁয়াদের দাপট এখন সর্বত্র। আর সে দাপটে কমিউনিটি অতিষ্ঠ। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মননা জ্ঞাপন এখন হিড়িকে পরিণত হয়েছে। এখানে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য সংগঠন প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানিয়ে থাকে। ভূঁয়াদের সাথে সাথে দুই-একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাও সম্মাননা পেয়ে থাকেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটু বিবেচনা করে দেখা উচিত।
এইসব সংগঠনের কাছ থেকে সম্মাননা নিয়ে তার ধন্য হচ্ছে না। সম্মাননা দিয়ে সেই সব সংগঠন ধন্য হচ্ছে। একটা আবেদন তাদের প্রতি সম্মাননা নেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তেমনি সম্মাননা দেওয়ার যোগ্যতাও সব সংগঠন রাখে কিনা তা তারা বিবেচনা করে দেখাও প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ডাটাবেজ তৈরী করে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার একটি পরিচয় নম্বার (এম.আই.এস নম্বার বলা হয়) প্রদান করে। ওয়েব সাইটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে এবং এম.আই.এস নম্বার ব্যতীত কাউকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ মতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা-সম্মাননা প্রদানের পূর্বে তাদের এম.আই.এস নম্বার পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এদিকে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কামান্ড ইউনিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়- বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এম.আই.এস নম্বার নির্ধারণ করেছেন যা সার্বক্ষণিক দেখা যায়। যদি কেউ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন বা সংগঠন মুক্তিযুদ্ধা সম্মাননা প্রদান করেন তাহলে যেন এম.আই.এস নম্বার উল্লেখ করেন। আশা করি সকল দিবসের অনুষ্ঠানে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মান করা হবে।