সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের প্রতিটি যুগোপযোগি পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে শহীদ জিয়া নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকত না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা থেকে শুরু করে যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুকি নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, একই ভাবে জাতির দুর্যোগময় মুহুর্তে একদলীয় বাকশালী শাসনে বিপর্যস্থ জাতিকে মুক্তি দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। ফিরিয়ে দিয়েছেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। জিয়াউর রহমান সততা, গভীর দেশপ্রেম ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ নানা গুণাবলির মাধ্যমে সর্বস্থরের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। শহীদ জিয়া মানে স্বাধীনতা, জিয়া মানেই বাংলাদেশ। শহীদ জিয়াকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করবে সময়ের ব্যবধানে তারাই ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপি নেতা তাজরুল ইসলাম তাজুলের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে মোনাজাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা, মরহুম আরাফাত রহমানের আতœার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। এর পর প্রায় ১১’শ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন। এরপর তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প স্থাপন, জনশক্তি রফতানি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও রফতানি করেন। তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তার জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ ও স্বাধীন পতাকা পেতাম না। আওয়ামী লীগ যখন নিষ্ক্রিয় ছিল তখন জিয়াউর রহমান উই রিভোল্ট বলে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এরপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন ও যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই দেশের জনগনের কাছে ভালোবাসার নাম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ফখরুল ইসলাম ফারুক, ইকবাল বাহার চৌধুরী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, কামরুল হাসান শাহীন, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, শরিফুল হক, আনোয়ার হোসেন মানিক, ময়নুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ মামুন চেয়ারম্যান, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল লতিফ খান, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মোমিন, শাকিল মোর্শেদ, লোকমান আহমদ, বাদশা আহমদ, সালেহা কবির শেপী, নিজাম উদ্দিন তরফদার, আলতাফ হোসেন সুমন, মাওলানা নুরুল হক, মনিরুল ইসলাম তুরন, অর্জুন ঘোষ, রায়হান এইচ খান, রাসেল আহমদ রানা, জালাল আহমদ খান, সুহেল ইবনে রাজা, শাহিন আলম জয়, যুবদল নেতা, আক্তার আহমদ, জি.এম বাপ্পি, আমিনুল ইসলাম আমিন, এস.এম পলাশ, বাবর আহমদ রনি, মকসুদুল করিম নুয়েল প্রমুখ।
এদিকে সিলেট মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন পৃথক কর্মসূচী পালন করে। মহানগর বিএনপি : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে মহানগর বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯শে জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মহানগর বিএনপি’র ভাতালিয়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনভর কর্মসূচী শুরু হয়, এর পরে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল মাজার মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। বিকাল ২টায় হজরত শাহজালাল দরগা প্রাঙ্গনে অসহায়, দুস্থ মানুষের মাঝে শিরনী বিতরণ করা হয়। সন্ধা ৬টায় সময় জিয়াউর রহমান’র জীবন ও কর্মের উপর অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সকল কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম কয়েস লোদী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, নজীবুর রহমান নজীব, আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, আফজাল উদ্দিন, মাহবুব চৌধুরী, মহানগর বিএনপি’র ১নং সভাপতি মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাজন আহমদ ও নজির হোসেন, সাংগঠনিক আব্দুল মুনতাসির চৌধুরী সাব্বিহ, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মিজান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক এবি মজুমদার রনি, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ শফি সাঈদ সাহেদ, ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এ এসএম সায়েম, ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রুবেল বক্স, ১১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ তায়েফ, ১৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর রাসেল, ১৬নং সাধারণ সম্পাদক রুম্মান আহমদ, ২১নং ওযার্ডের সভাপতি খায়রুল ইসলাম খায়ের, ২৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান, মহানগর বিএনপি নেতা মুফতি সৈয়দ নেহাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খান, বিএনপি নেতা খালেদ আকবর চৌধুরী, মহানগর যুবদলনেতা এমদাদুল হক স্বপন, বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন, আসাদুল হক আসাদ, বিমল দেবনাথ, জুবেদ আমীরী, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, মনজুরুল করিম তুহিন, সুহেল আহমদ প্রমুখ।
শিরনী বিতরণের পূর্বে মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’র ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। তাঁর জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ যতবার পথ হারিয়ে ততবারই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। আধুনিক বাংলাদেশের ভীত রচনা করে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
এসময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম, আমাদের ন্যায়, সত্য ও সংগ্রামের শিক্ষা দেয়। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা, গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও সফল রাষ্ট্র নায়ক। বিএনপি তাঁর আদর্শ লালন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছে। তিনি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল : মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) বাদ আসর হয়রত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্বার মাগফেরাত, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুনিম, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রউফ, কায়সান মাহমুদ সুমন, টিটন মল্লিক, আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেদ, হাসান হাফিজুর রহমান টিপু, মোঃ আশিক মিয়া, সাইফুল আলম কোরেশী, আব্দুল আমিন, শিমুল আহমদ, দিহান আহমদ হারুন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য আকবর আলী খান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান আমিন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরানুল ইসলাম জাসিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুরুল আমিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিমুল ইসলাম তানিম, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইমন আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আকাশ আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি