স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। নানা কর্মসূচী মধ্যে দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারী সকালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে, জেলা পরিষদ সম্মুখসহ জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া এ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা, দোয়া ও মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগ: গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ। মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আজম খান, মো.শাজাহান, সাইফুল আলম স্বপন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মধ্যে আব্দুর রব হাজারি, ফখরুল হাসান, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, মোঃ ছয়েফ খাঁন, আনোয়ার হোসেন আনার, তাজ উদ্দিন লিটন, নজরুল ইসলাম নজু, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, চন্দন রায়, মইনুল ইসলাম মঈনসহ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজনীন হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সালমা বাছিত, সাবেক সহ-সভাপতি এ জেড রওশন জেবীন রুবা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাধুরী গুন, নুরুন নাহার, বীনা সরকার, মাধবী ভট্টাচার্য্য, রুনা আক্তার, অঞ্জনা সরকার, নমিতা মোদক, কইতুন নেছা প্রমুখ। মহানগর শ্রমিক লীগ: স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন জাতীয় শ্রমিক লীগ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তারা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রম আদালত সিলেটের শ্রমিক প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেন, জালালাবাদ গ্যাস কর্মচারী লীগ (সিবিএ) এর সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদ, সিলেট জেলা হিউম্যান হলার মালিক সমিতি (রেজি নং- সিলেট- ১৩) এর সভাপতি মো. শরীফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব জ্যোতি দে, সিলেট জেলা হিউম্যান হুলার চালক শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং- চট্ট ১৩২৬ এর আহ্বায়ক শাহাব উদ্দিন, সিলেট সদর অটো রাইসমিল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং- সিলেট-৫৪ এর সভাপতি জাফর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি কয়েস আহমদ, মাওলানা সালাউদ্দিন আকরাম, কালাম হোসেন, মো. জামাল উদ্দিন (কাউসার জামাল), ফয়েজ আহমদ, মো. রুবেল আহমদ, এডভোকেট শহিদুল্লাহ তালুকদার, বদরুল ইসলাম, বিজিত লাল দাস, কাউসার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির ইসলাম, খালেদ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল হোসেন, শাহিন আহমদ, খলিলুর রহমান, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, লোকমান হোসেন, পরিতোষ ধর পাপ্পু, সাকিল তালুকদার, খালেদ আহমদ, মুহিত আহমদ, পিকে দাস মল্লিক, সাইফুজ্জামান বিপ্লব, দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান আলী, সহ-আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাজেদ আহমদ, শিক্ষা সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক নেওয়াজ শরীফ রাজু, সহ সম্পাদক জাবের আহমদ, গোলাম কিবরিয়া, ইউসুফ আলী, মানিকুল ইসলাম মানিক, কার্যকরী সদস্য শুয়েব আহমদ, জামসেদ আহমদ প্রমুখ।
মহানগর তাঁতী লীগ: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সিলেট মহানগর তাঁতী লীগ। মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রশাষকে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে (ম্যুরাল) পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের নেতৃবৃন্দ। এসসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো.আবুল হাসনাত বুলবুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি মির্জা শোয়েব আহমদ, মিল্টন তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, হাবিবুর রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সপু আহমদ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হাসান শিপলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাদশা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক পারভেজ আহমদ রাজু, জেলা যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ: যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ।
আলোচনা সভায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রদর্শক মো. আরজ আলী, সহকারী শিক্ষক শ্রী অসীম কুমার সিংহ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়া। অনুষ্ঠানে সমাপনী ভাষণের শুরুতেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধে আতেœাৎসর্গকারী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভম হারানো মা-বোনদের প্রতি অকৃত্রিম সম্মান প্রদর্শন করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০ই জানুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটি বাংলার সকল শ্রেণির মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করেন। তিনি দিবসটির তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তার মহান আর্দশকে প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যদি সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করা যায় তাহলে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা সম্পন্ন, মানবিকগুনে সৃষ্টিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হতে হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির পিতা ও অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর সেই রাতেই ধানমন্ডির বাসা থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি বাহিনী। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। তিনি পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬ টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন। ১০ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের এই স্বপ্নপুরুষ। বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।
পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।