দুই ঘণ্টায় শেষ সিলেট-ঢাকাগামী ট্রেনের ৪ হাজার টিকিট!

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সময় মাত্র দুই ঘণ্টা! এরই মাঝে চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় চার হাজার টিকিট শেষ হয়ে গেছে। শোভন, এসি, স্নিগ্ধা বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোনো টিকিটই আর অবশিষ্ট নেই।
এই বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় মোবাইল ফোনের অ্যাপসে প্রবেশ করে এ বিড়ম্বনায় চিত্রটি পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা যাওয়ার আন্তঃনগর কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে সকাল ১০টায় মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপসে প্রবেশ করেছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ। রেলওয়ের নিয়মানুযায়ী যাত্রার চারদিন আগে সকাল ৮টায় সেই আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সকাল ৮টা থেকে ১০টা, মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর ঢাকাগামী কালনি, জয়ন্তিকা, পারবত এবং উপবন এ চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণির সব টিকিটই শেষ হয়ে গেছে।
এ গণমাধ্যমকর্মী বলেন, আমার ৩১ ডিসেম্বর ঢাকাগামী কালনির তিনটি টিকিট দরকার। সকাল ১০টার দিকে মোবাইল অ্যাপসে প্রবেশ করে দেখলাম শ্রীমঙ্গল থেকে কোনো টিকিট নেই। তারপর কুলাউড়া এবং সিলেট থেকেও কোনো টিকিটই নেই। কালনিতে টিকিট না পেয়ে জয়ন্তিকার টিকিট শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া এবং সিলেট থেকে খুঁজলাম তাও পেলাম না, সবগুলো টিকিটই শেষ।
তিনি আরও বলেন, তারপর সেদিনের অপর দুটি আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এবং উপবনের টিকিটগুলো অনুসন্ধান করলাম। পারাবতের কোনো টিকিট নেই, শুধুমাত্র উপবনের তিনটা টিকিট আছে। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় চার হাজার টিকিট উধাও হয়ে গেছে। কী আশ্চর্য বিষয়!
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, এমনটা অনেক ক্ষেত্রে হয়েই থাকে। যেমন মনে করেন, একটি আন্তঃনগর ট্রেনে পুরো সিট আছে ৫০০টি। এর মধ্যে ২৫০টি টিকিট রয়েছে মোবাইল অ্যাপসের অনলাইন সিস্টেমের মধ্যে এবং আমাদের বিভিন্ন স্থানের স্টেশন যেমন- সিলেট, মাইজগাঁও, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল প্রভৃতি স্টেশন মিলে অবশিষ্ট ২৫০টি টিকিট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টিকিট ওপেন হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে অবিক্রীত টিকিটগুলো আমরা কাউন্টারে ফেরত এনে থাকি। তার আগে একটি টিকিটও কাউন্টার থেকে অনলাইন অ্যাপসে কাটার কোনো সুযোগ নেই আমাদের।
স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, মোবাইল অ্যাপসের অনলাইনে যে টিকিটগুলো আছে সেগুলো আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কেটে নিতে পারবেন। সেখানে আমাদের কোনো প্রকার খরবদারি নেই। এখন যার মোবাইলে স্পিড (গতি) বেশি, তিনি দ্রæত কেটে নিতে পারেন বলে জানান সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের এ ব্যবস্থাপক।