স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত পর্যটন স্পট। এর মধ্যে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটের সংখ্যা প্রায় ৩০টি। এসব স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ ইউনিটের মোট ১০০ জন সদস্য। হিসাব অনুযায়ী- প্রতিটি স্পটের জন্য গড়ে দু-তিনজন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যও নেই। এ কারণে পর্যটকদের যথাযথ নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন- এই স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সিলেট অঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোতে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করে ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সিলেটে ধরে রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। আর নিরাপত্তার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবল। কিন্তু সে অনুসারে সিলেটে তা নেই।
সিলেটের সচেতন মহল বলছে- দিন দিন মানুষের ভ্রমণের আগ্রহ-উৎসাহ বাড়ছে। এর সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তাজনিত ভ‚মিকা থাকায় মানুষ বেশি ঘুরতে যায়। কারণ যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে মানুষ ঘুরতে যায় না। সিলেটে লোকজন ঘুরতে আসছেন আর নতুন নতুন পর্যটক স্পট বের হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশেরও আরও জনবল একান্ত প্রয়োজন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিয়নের এসপি (পুলিশ সুপার) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন- সিলেট রিজিওনের জন্য আমাদের মাত্র ১০০ জনবল। এই স্বল্প লোকবল নিয়ে সিলেট অঞ্চলের পর্যটনস্পটগুলোতে নিরাপত্তা দিতে আমাদের অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন- আমাদের অধীনে সিলেট রিজিওনে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ২০টি স্পট রয়েছে। কিন্তু এসব স্পটে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি ট্যুরিস্ট পুলিশ দেওয়া যায় না। আর বিভিন্ন ছুটি বা উৎসবের সময় সিলেটের একেকটি স্পটেই লাখের কাছাকাছি পর্যটক ছুটে আসেন। তাদের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে মাত্র ৫-৫ জন? এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এসপি (ট্যুরিস্ট পুলিশ) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার পাশাপাশি হোটেলের নিরাপত্তা এবং জনগণকে সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মকাÐ চালিয়ে আসছে সংস্থাটি। ২০২০ সালের ৩ জুন ২২ ধরনের তদন্তের ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা ২০২০ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে দেওয়া হয় তদন্ত ক্ষমতা। কিন্তু জনবল না বাড়ানোর ফলে সিলেটসহ পুরো দেশের পর্যটন স্পটগুলোতেই পুরোপুরি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না পর্যটকরা।