বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হল না বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কোনারাই গ্রামের পিয়ার আলীর পুত্র ফাহিম আহমদ (১৮)’র। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামস্থ এলাকার মর্ণি স্টার একাডেমির সামনে বাসের ধাক্কায় নিহত হন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ না করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে ফাহিম।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামস্থ এলাকার মর্ণি স্টার একাডেমির সামনে বাসের (সিলেট-জ ১১-২০২৭) ধাক্কায় পরীক্ষার্থী ফাহিমসহ তার সহযাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা (মৌলভীবাজার-থ ১১-০৯৬৩) ধুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার ফলে আরো ৪ জন আহত হন। এরমধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুত্বর।
আহতরা হলেন- এইচএসসি পরীক্ষার্থী কোনারাই গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র পাবেল আহমদ (১৮), জমির আলীর পুত্র রুহুল আমীন (২২), আব্দুর রশিদের পুত্র রনি মিয়া (১২) এবং ওয়াব উল্লাহর পুত্র অটোরিক্সা চালক রিপন মিয়া (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক ও সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফাহিম আহমদ ও তার সহপাঠিরা সিএনজিচালিত অটোরিক্সা (মৌলভীবাজার-থ ১১-০৯৬৩) যোগে বিশ্বনাথ পৌর শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রাম এলাকার মর্ণি স্টার একাডেমির সামনে আসা মাত্র ফাহিমদেরকে বহনকারী অটোরিক্সাকে সরাসরি ধাক্কা মারে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস (সিলেট-জ ১১-২০২৭)। বাস-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ সময় গুরুতর আহত হন ফাহিমসহ অটোরিক্সায় থাকা যাত্রী-চালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাস ও অটোরিক্সা জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বাস ও অটোরিক্সা জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।