হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
অযতœ আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে হবিগঞ্জ কিবরিয়া পৌর মিলনায়তনের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় অকেজো হয়ে পড়ছে মিলনায়তনের মূল্যবান সরঞ্জাম। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, তৎকালীন পৌর পরিষদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে। তবে কীভাবে এর সংস্কার করা যায়, সে চেষ্টা চলছে।
হবিগঞ্জ কিবরিয়া পৌর মিলনায়তনটি শহরের নিউফিল্প মাঠের পাশে অবস্থিত। ২০০১ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর এটি ব্যবহার করা হলেও কয়েক বছর যেতেই শুরু হয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। ফলে ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে এসি, সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট, আলোকবাতি, মঞ্চ, চেয়ার-টেবিলসহ যাবতীয় সরঞ্জাম। সূর্য ডুবলেই আঁধার নেমে আসে। নজরদারি না থাকায় সন্ধ্যার পর বসে বখাটেদের আড্ডা। চলে মদ-গাঁজা সেবন। বৃহস্পতিবার সরেজমিন অডিটোরিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, এসিগুলো নষ্ট। মঞ্চের পাটাতন ভেঙে গেছে। সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট বেহাল। আগে এখানে ৫০০ লোকের বসার মতো ভিআইপি চেয়ার ছিল। এখন সেগুলোর অস্তিত্ব নেই। নাট্যকর্মী ইয়াছিন খান বলেন, মিলনায়তনটি আমাদের গর্বের। একে ঘিরে নাট্যকর্মীসহ সবার প্রত্যাশা ছিল অনেক। দীর্ঘদিনের অযতœ-অবহেলায় এটি বেহাল। অথচ একটা সময় এ অডিটোরিয়ামে হাজারখানেক লোক জড়ো হতো। সভা-সমাবেশসহ নানা আয়োজন লেগেই থাকত। কী কারণে এ অবস্থা বুঝতে পারি না।
আফিফ জাহান নাইম জানান, একসময় এখানে জেলা শহরের বড় বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। এখন আর হয় না। মিলনায়তনটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। দ্রæত এটি সংস্কার করে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই দাবি করেন সজীব নামে এক তরুণ। তাঁর ভাষ্য, এত মূল্যবান একটি মিলনায়তন এভাবে চোখের সামনে ধ্বংস হতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই এটি বেহাল। আগের পৌর পরিষদের অবহেলার কারণে মিলনায়তনটির এ অবস্থা। তবে এখন এটাকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।