কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন আসছে। যুগ্ম-সম্পাদক আর সাংগঠনিক সম্পাদকের অন্তত তিনটি পদ বাড়ছে। কমতে পারে কার্যনির্বাহী সদস্য পদ। তবে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি কাঠামো সেটিতে পরিবর্তন আসবে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশে নবগঠিত দুই প্রশাসনিক বিভাগ ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’র জন্য দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক ও একটি যুগ্ম সম্পাদক পদ বাড়ানো হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে এ বিষয়ে দলটির গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে নতুন করে সাংগঠনিক পরিধি বাড়ানো হবে। বর্তমান কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ রয়েছে ৮টি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪টি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য করা হয় ৮১। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৯ সালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিল ৪০ সদস্যবিশিষ্ট।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কমিটির মূল কাঠামো ঠিক রেখে সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো হবে। এই জন্য জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়ে মতামত চাওয়া হবে।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগনের দল। তাই সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের সম্মতিক্রমে সম্পাদকীয় পদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। দলের গঠনতন্ত্রের পাশাপাশি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে নেতাকর্মীদের সুচিনন্তিত মতামত গ্রহণ গ্রহণ করা হবে।’
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনকে সামনে রেখে ১১টি উপ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদকে।
গতকাল শনিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীরর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। বিষয়গুলো আমরা আলোচনাতেই রেখেছি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে সে বার্তাটি এই সম্মেলনের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আমরা যে পরিকল্পনা করেছি এবং ইশতেহারে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেই বিষয়েও তুলে ধরবো।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীরর এ সদস্য বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কিভাবে দলকে আরও শক্তিশালী করা যায় সেসব বিষয় নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। এছাড়া উপকমিটির সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি ও সামাজিক পরিবর্তনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাইলে সুচিন্তিত ভাবে তাদের মতামতগুলো লিখিতভাবে আমাদের জানতে পারবেন। এমনকি তৃণমূল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের নাগরিকরাও তাদের মতামত দিতে পারবেন।