দুঃসময়ে শাবি কর্মকর্তার পাশে সহকর্মীরা

17

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ। তার বড় ছেলে গত দুই বছর ধরে ব্রেন টিউমারে এবং ছোট ছেলে জন্মের পর থেকে মস্তিষ্কে আঘাত, জয়েন্টে জটিলতা, কথা বলতে ও শুনতে না পারাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। দুই সন্তানের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছেন না আব্দুল হামিদ। তার এই দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শাবিপ্রবি’র কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) আব্দুল হামিদের কাছে তার সহকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৯ জন কর্মকর্তার একদিনের বেতনসহ মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন। অর্থ হস্তান্তরকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মখলিছুর রহমান (পারভেজ), সহ সভাপতি পরিবহন দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমরান আহমদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইউনুস আলী বলেন, আমাদের যে কোনো সহকর্মীর বিপদে আমরা সাধ্যমত তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তারা আব্দুল হামিদের ছেলেদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য একদিনের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেই। এর পাশাপাশি কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবেও সহযোগিতা করেছেন। আশা করি এই অর্থ তার ছেলেদের চিকিৎসায় কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।
জানা গেছে, আব্দুল হামিদের বড় ছেলের বয়স ৯ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স ১ বছর দুই মাস। তারা বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার ছোট ছেলের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। দুই সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে ইতোমধ্যে নিজের জায়গা-জমি বিক্রি করে দিয়েছেন এই কর্মকর্তা৷