কদমতলী থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ॥ ৪ অপহরক গ্রেফতার, আজ রিমান্ড শুনানী

6

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা কদমতলী থেকে ব্যবাসয়ীকে অপহরণের পর মারধর করে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেওয়ার অভিযোগ ৪ অপহরককে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হচ্ছে, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খরজখালী গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের পুত্র মো. তমিজ আলী (৪০), এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিছা এলাকার মৃত এংরেজ মিয়ার পুত্র মো. সাজ্জাদ মিয়া (৪৫), একই থানার আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার মল্লিকা ৬৪/২-এর মৃত শেখ মজিদ মিয়ার পুত্র মো. নয়ন মিয়া (৩৫) ও কোতোয়ালি থানার মিরাবাজার এলাকার বসুন্দরা-৪ এর মৃত রমেন্দ্র নারায়ন দেবের পুত্র তপু রঞ্জন দেব (৩৫)। তাদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর শুনানি আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে সৈয়দ এমরান হোসেন (৪৫) নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী ব্যবসার মালামাল আনার জন্য জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টে আসলে সে জায়গার আল-সাফা রেস্ট হাউজের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় উল্লিখিত ৪ আসামি ২টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে এমরানের গলায় ছুরি ধরে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তাকে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সবুজ বিপনী রেস্ট হাউজের ৪র্থ তলার একটি রুমে নিয়ে আটক করে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এমরানের নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এসময় এমরানের সঙ্গে থাকা ৮৫ টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এছাড়াও আরও চাঁদা আদায়ের জন্য এমরানের গলায় চাকু ধরে স্ত্রী তাহমিনা বেগমের ইমুতে ভিডিও কল দেয় সেটি দেখান আসামিরা। পরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা প্রেরণ করেন তাহমিনা। পরদিন রাত ২টার দিকে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা থানায় এমরান মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ১০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকালে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, অপহরণ, ভিকটিমকে মারধর ও চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ গ্রেফতারকৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আজ বুধবার এর শুনানি হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়ার আশা প্রকাশ করছি। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবে পুলিশ।