লক্ষ্মীপূজা আজ

5

স্টাফ রিপোর্টার :
আজ রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রীশ্রী লক্ষ্মী পূজা। এটি কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাও নামে খ্যাত। লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তাই ধন-সম্পদ, বৈভবের আশায় এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় এ দিন ঘরে ঘরে শ্রীশ্রী দেবী লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ২২ আশ্বিন, ১৪২৯। পূর্ণিমা শুরু হয় শনিবার ৮ অক্টোবর ভোররাত ৩ টা ২৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। পূর্ণিমা শেষ হবে আজ রবিবার ৯ অক্টোবর রাত ২ টা ২৫ মিনিট ৫ সেকেন্ডে।
বিজয়া দশমী কেটে গেলেও পূজার রেশ যেন কাটতেই চায় না। তবে ঘরের মেয়ে উমার বিদায়ের পর পরই ঘর আলো করে প্রবেশ করেন দেবী লক্ষ্মী। দুর্গাপূজার ঠিক পরই আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে যে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়, তাকে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বলা হয়। তাঁর অপর নাম মহালক্ষ্মী। আর তাঁর বাহন হল পেঁচা। বাংলার ঘরে ঘরে এদিন লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। মনে করা হয়. কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীকে পূজা করে ঘরে আনলে গৃহে ধন-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, সৌভাগ্য ফিরে আসে ও ভক্তদের অপার আশীর্বাদ প্রদান করেন।
কথিত আছে, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী লক্ষ্মী। ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। যে ভক্ত রাত জেগে দেবীর আরাধনা করেন, তাঁকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন তিনি। তাঁর ঘর ভরে ওঠে ধন-সম্পদে। তাই ভক্তরা কোজাগরী পূর্ণিমায় সারা রাত জেগে থাকেন দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। এই দিন সন্ধ্যেবেলা থেকেই বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খধ্বনিতে। এদিন মাটির মূর্তি বানিয়ে লক্ষ্মীর পূজা করেন অনেকে। সারাদিন উপবাস রেখে সন্ধ্যার সময় দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার নিয়ম। পূজা শেষে নিয়ম অনুসারে বাড়ির মহিলারার লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করেন। তারপর প্রসাদ বিলি করে ও প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন।
শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মীর আসার সময় যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও যে বাড়ির গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী লক্ষ্মী।