বঙ্গবন্ধুকে আগামী প্রজন্ম’র কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী

20
সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকে জানো, বঙ্গবন্ধুকে পড় কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার :
বঙ্গবন্ধুকে জানা ও পড়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে জানা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম, রাজনীতি, দেশ উন্নয়ন ও সামজচিন্তা আগামী প্রজন্ম’র কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বঙ্গবন্ধুকে পড়’ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার আগামীর অগ্রসৈনিক হবে আজকের শিশুরা। তাই শিশুদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আগামী প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে বেড়ে উঠতে পারে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. কবীর এইচ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন পাঠ প্রত্যেকটি শিশুর জন্য জরুরী। কারণ হিমালয়সম রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা, দেশের এবং দেশের মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা পৃথিবীতে বিরল। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলায় রূপান্তরে নতুর প্রজন্ম সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করবে। সেই জন্য এখন থেকে দেশ প্রেমেক হয়ে উঠতে পড়তে হবে, জানতে হবে জাতির পিতার জীবন-কর্ম ও রাজনৈতিক ঐতিহাসিক ঘটনা সমূহ।
শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে বিশিষ্ট সমাজকর্মী, লেখক সেলিনা মোমেন রচিত বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবনীগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান;আজীবন সংগ্রামীর গল্প’ বই পড়া এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। মাস ব্যাপি এই আয়োজনে সিলেট মহানগরের ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; আজীবন সংগ্রামীর গল্প’ বইয়ের লেখক, বিশিষ্ট সমাজকর্মী সেলিনা মোমেন বিমেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় জাতির পিতার কিশোর জীবনী গ্রন্থটি আমি রচনা করেছি। আমার স্বপ্ন আগামী প্রজন্ম যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বেড়ে উঠে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্ঠা প্রফেসর মুহ. হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি’র সভাপতিত্বে এবং ফাতেমা রশীদ সাবা’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক অনিল কৃষ্ণ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব ফাহিমা ইয়াসমীন, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবীর খান, রসময় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম, সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কহেলী রানী রায়, দি এইডেড হাই স্কুলের শিক্ষার্থী অসীম ঐর্শ্বয্য সরকার, ব্লুবার্ড উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী চৌধুরী জাকিয়া নুসরাত।
উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কাউন্সিলর ছয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, শিক্ষা কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন বর্ণমালা সিটি একাডেমীর সহকারি শিক্ষক শর্মিলা দেব পূরবী। বই পড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়া ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। তিনটি গ্রুপে অস্টম, নবম ও দশম গ্রেনীর শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে (অষ্টম শ্রেনী) প্রথম স্থান লাভ করে ব্লুবার্ড উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শির্ক্ষার্থী চৌধুরী জাকিয়া নুসরাত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে রসময় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শর্মী দাস ও কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদা আহমেদ অনন্যা। খ বিভাগে (নবম শ্রেনী) প্রথম স্থান লাভ করে ব্লুবার্ড উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শির্ক্ষার্থী অনিন্দ মোদক, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর হাসান ইমন।
গ বিভাগে (দশম শ্রেনী) প্রথম স্থান লাভ করে দি এইডেড হাই স্কুলের শির্ক্ষার্থী অসীম ঐর্শ্বয্য সরকার, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে মঈনুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহেলা আক্তার মিলি ও আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী সাফিয়া আক্তার সীমা।