তাহিপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগে সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

139

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে  :
জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ১ মাস আগে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আজও উত্তীর্ণদের নিয়োগ পত্র দেয়নি পরিচালনা কমিটি। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ডিজির প্রতিনিধি তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সভাপতিকে নিয়েই স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। ফলাফল সীটে আমরা নিযোগ বোর্ডের ৪ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছি। সভাপতিকে স্বাক্ষর করতে বললে তার পছন্দের প্রার্থীর নাম না থাকায় তিনি নামাজের কথা বলে বাহিরে চলে যান।
জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখ বিদ্যালয়ে ৩টি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী পদে মো. সজিব মিয়া, নৈশ প্রহরী পদে মো. শরিফুল ইসলাম এবং আয়া পদে সারুল আক্তার প্রথম হন। পরীক্ষার প্রশ্ন থেকে শুরু করে সব কিছুই অতি গোপনীয়ও স্বচ্ছভাবে করা হয় সভাপতির উপস্থিতি ক্রমে এবং পরীক্ষা শেষে নিয়োগ কমিটির ৪ জন ফলাফল সিটে স্বাক্ষর করলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এখন পর্যন্ত রহস্যজনক কারনে স্বাক্ষর করেন নি।
এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল সীটে নিয়োগ বোর্ডের ডিজি’র প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অপর সদস্য লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। এ অবস্থায় সভাপতি নামাজের কথা বলে ফোন বন্ধকরে চলে যান। আর আসেন নি এবং এখনো ঐ ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করেন নি।
নিয়োগ বোর্ডের অপর সদস্য লাউড়েরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়্যুম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম সভাপতিকে নিয়েই করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল সীটে তিনি আমাদেরকে বলেছেন স্বাক্ষর করার জন্য। এ লক্ষ্যে আমরা ৪ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছি। এখন কি কারণে সভাপতি ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করছেন না বিষয়টি তার কাছে বোধগম্য নয় বলে তিনি জানান।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, নিযোগ পরীক্ষার তৈরীকৃত প্রশ্নপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতি নিজে পাশর্^বর্তী বাদাঘাট বাজারে গিয়ে ফটোস্ট্যাট করে নিয়ে আসেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও যথারীতি সুন্দরভাবে হয়েছে। নিয়োগ কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে আমরা ৪ জনে স্বাক্ষর করেছি। নিয়োগে বাছাইকৃতদের তালিকা দেখে স্বাক্ষর না করে নামাজের কথা বলে তিনি বাহিরে চলে যান। এখন তিনি বলছেন পূণঃ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার জন্য।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির শাহ বলেন, মৌখিক পরীক্ষার সময় তাকে মার্ক দেয়ার সুযোগ না দিয়েই প্রধান শিক্ষক ও অপর সদস্যরা ফলাফলসীট তৈরী করেছেন। তাই তিনি এ ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করেন নি।