কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চীনের ১০টি শহরে গণপরিবহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্দির বন্ধের পাশাপাশি পর্যটন গন্তব্য ‘নিষিদ্ধ শহর’ ও গ্রেট ওয়ালের একটি অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন চন্দ্র বর্ষের ছুটি। চীনা নববর্ষের সপ্তাহব্যাপী ছুটির মধ্যে দেশটির কোটি কোটি মানুষ একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করলে ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাংহাই ডিজনিল্যান্ড থিম পার্কও শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ে সব বড় উৎসব ও মন্দিরের মধ্যে মেলা নিষিদ্ধ ও চলচ্চিত্র মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে গণপরিবহন বন্ধ করায় উহান ও পার্শ্ববর্তী হুয়াংগ্যাং শহরের অন্তত ২ কোটি বাসিন্দা কার্যত আটকা পড়েছে। উহানের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটির ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশু বাজারে অবৈধভাবে চলা বন্যপ্রাণী ব্যবসা থেকে গত বছরের শেষ দিকে প্রাণঘাতি এ করোনা ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৬০ সালে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এটি মূলত ভাইরাসের বড় একটি গোত্র। বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতির সংক্রমণ ঘটেছে, তা এর আগে দেখা যায়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণে সাধারণ সর্দি-ঠান্ডা থেকে শুরু করে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) পর্যন্ত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি মানুষ এবং পশু-উভয়ে ছড়াতে পারে। কোনো রকম স্পর্শ ছাড়াই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় ভাইরাসটি।