সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ।
শুক্রবার ২৬ আগষ্ট নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জে জুম্মার নামাজ আদায় করে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন।
কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, শোকাবহ আগস্টে আমরা উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যদেরকে নিয়ে হযরত শাহজালালের পুণ্যভূমি সিলেট থেকে এসেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোদ্ধা স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ সিলেট এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তিনি বলেন, এখানে আসলেই আমরা আবেগ তাড়িত হই। এখানে শুয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এটা মহান এক অর্জন যা তাকে ইতিহাসে অমর করে দিয়েছে। এই বাংলাদেশ ও বাঙালিত্ব যদিদিন থাকবে তিনি ততদিন এই বাংলাদেশ ও বাংলার আকাশ-বাতাস ও আমাদের এই মৃত্তিকায় ভেসে থাকবেন। তিনি বলেন, আমরা যখন এখানে আসলাম তখন আমাদের হৃদয় বেদনায় কেঁদেছে। এখানে শায়িত আছেন বাংলার রাখাল রাজা জাতির পিতা। যিনি এদেশের মুক্তির জন্য জীবনের সকল স্বাদ-আহ্লাদ ত্যাগ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পাকিস্তানের দোসররা তাঁকে আমাদের কাছ থেকে কেরে নিয়েছিল। কিন্তু তাঁর আদর্শ, চেতনা ও কর্ম আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদন হবে এবং উনার নেতৃত্বেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। পরিশেষে তিনি বলেন, আমরা এখানে শিখরের সন্ধানে এসেছি, অস্তিত্বের জায়গায় এসেছি, বিশ্বাসের জায়গায় এসেছি সর্বোপুরি চেতনার জায়গায় এসেছি। সুতরাং সেই চেতনা, আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। তাছাড়া উপদেষ্টা মন্ডলীর পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে এডভোকেট আব্দুল মালিক বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে এই বাংলাদেশ হতো না। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বই মানেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সতেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, কার্যনির্বাহী সদস্য খলিল আহমদ। বিজ্ঞপ্তি