গোয়াইনঘাটে বইছে জেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া, মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন হাফ ডজন প্রার্থী

183

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটে বইছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। কে কে হচ্ছেন জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। অফিস পাড়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান সব জায়গায় একই আলোচনা।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা পর থেকেই নড়েচড়ে বসছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১০নং ওয়ার্ড’র সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। গোয়াইনঘাট উপজেলায় জেলা পরিষদ সদস্য পদে হাফ ডজন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রধান আলোচনা হিসাবে হাট-বাজার, অফিস-আদালতসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্যাম্পাসে ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
প্রচারণার পিছিয়ে নেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। ফেইসবুকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনুসারীরা প্রার্থীর পক্ষে সাফাই দিচ্ছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে সদস্য পদের জন্য এখনো পর্যন্ত হাফ ডজন নেতা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
তাদের মধ্যে গত নির্বাচনে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাট থেকে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের ১০ নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম শাহপরান’র পাশাপাশি প্রার্থী হওয়ার তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন সুমন, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবাস দাস, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ লুৎফুল হক, গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আলম আবুল ও ব্যবসায়ী বিলাল উদ্দিন’র নাম রয়েছে আলোচনার শীর্ষে।
গত মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) নির্বাচন কমিশন দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ’র তফসিল ঘোষণা করে।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৯-২১ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর ও ভোট গ্রহন হবে ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে।
নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশসকগণ রিটার্নিং কর্মকর্তার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার-জেলা নির্বাচন অফিসার।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে নন্দিরগাঁও, তোয়াকুল ও রুস্তুমপুর ইউনিয়নকে বাহিরে রেখে ( পশ্চিম জাফলং, পূর্ব জাফলং, লেঙ্গুড়া,পূর্ব আলিরগাঁও, ফতেহপুর, ডৌবাড়ী, পশ্চিম আলীরগাঁও, মধ্য জাফলং
ও গোয়াইনঘাট সদর) ইউনিয়ন নিয়ে ঘঠন করা হয়েছে জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১২০ জন। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদের ৩ জন প্রতিনিধি ও ৯টি ইউনিয়নের ১১৭ জন জন প্রতিনিধি রয়েছে। তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে জেলা পরিষদ’র প্রতিনিধি।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে থাকা সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহাপরান বলেন আমি প্রায় ৫ বছর ধরে জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করছি। আমার দায়িত্বকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমি পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে আছে। সম্মানিত ভোটারদের ভোটের আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারব।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন সুমন বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এবং দশের উন্নয়ন ও জনগণের সেবা করার লক্ষ্যেই আমরা রাজনীতি করি। আমি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি নির্বাচনে আমি জয়ী হতে পারবো।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবাস দাস জানান, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নির্বাচনে নেমেছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকাকে একটি মডেল এলাকা হিসেবে পরিণত করা আমার লক্ষ্য। আমি আশাবাদী এবং আমার এলাকার ভোটারদের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস যে, সকলেই আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করার সুযোগ দিবে। আমার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সাধারন কর্মী হিসেবে এবং জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ’র মাটি ও মানুষের নেতা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি’র মাধ্যমে আমার এলাকার উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ডে জয়যুক্ত হওয়ার জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সকল ভোটারদের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রত্যাশী।