একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
জ্বলানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরমূল্য বৃদ্ধি, ভোলায় ছাত্র দলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দিরাইয়ে জনতার ঢল নেমেছে। বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি।
সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে নেতা কর্মীরা মিছিল সহকারে দিরাই উপজেলা সদরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে থাকে। তারা শহীধ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার পাশাপাশি নাছির ভাই নাছির ভাই শ্লোগান দেয়। ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মী এবং উপজেলা জেলা নেতাদের সমন্বয়ে বিরাট একটি মিছিল বিএনপি কার্যালয় হতে শুরু করে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ করেন। সমাবেশে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। এ সময় পথচারী ও স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত কর।
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দাই মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরীর পরিচালনা মিছিল সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুনাজ্জির হোসেন সুজন, সদস্য ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা জেলা নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে শান্তি পূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করি। জেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য না শুধু জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান আলোচক যখন বক্তব্য শুরু করেন তখন ইচ্ছে করেই আওয়ামী লীগের দালালরা বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে আমাদের সমাবেশ বানচাল করার পাঁয়তারা করে, উপজেলা বিএনপি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে এবং জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।