টানা ১১ দিন পর লাক্কাতুরায় চা শ্রমিকদের একাংশ কাজে ফিরলেন

5
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছে চা শ্রমিকদের একাংশ। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
টানা ১১ দিন পর অবশেষে কাজে যোগ দিয়েছেন লাক্কাতুরা চা শ্রমিকদের একাংশ। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে শহরতলির লাক্কাতুরা এলাকায় চা বাগানে কাজে ফিরেন তারা। তবে আরেকাংশ এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ৮ আগষ্ট থেকে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। ১৩ আগষ্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
এর মধ্যে ঢাকা ও সিলেট মিলিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয় প্রশাসন, চা শ্রমিক নেতা ও বাগান মালিকদের মধ্যে। কিন্তু সমাধান আসেনি। সর্বশেষ গতরাতে মৌলভীবাজারে প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা। তবে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নিজেদের দাবি জানাবেন তারা। কিন্তু গতকাল সোমবার সকালে চা শ্রমিকদের একটি পক্ষ বেঁকে বসে। তারা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের লাক্কাতুরায় চা শ্রমিকরা সকাল থেকে বাগান এলাকায় বিক্ষোভ করেন, স্লোগান দেন। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে শ্রমিকদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এক পক্ষ কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বেলা একটার দিকে শ্রমিকদের একাংশ কাজে যোগ দিতে বাগানে যান। তারা চা পাতা তুলতে শুরু করেছেন।
কয়েকজন শ্রমিক জানান, চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করায় তারা কাজে ফিরেছেন। শ্রমিকদের একাংশ কাজে ফেরায় বাগান মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে আরেকটি পক্ষ এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, ৩০০ টাকা মজুরি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই পক্ষে থাকা চা শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক অজিত রায় বলেন, ১৩ দিন ধরে শ্রমিকরা খেয়ে না খেয়ে আন্দোলন করছে, অথচ রাতের অন্ধকারে ১২০ টাকায় কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল! এটা তো হঠকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের দাবি, ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন, তবেই আমরা কাজে ফিরে যাবো।