তেলের দাম সমন্বয়ের চিন্তা করছি, সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে – প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

24

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন। তবে, জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি গ্যাসের যে দাম বাড়ানো হয়েছে তা ২০২১ সালের দর। যুদ্ধের কারণে অনেক দাম বেড়েছে, এখন আবার সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগষ্ট) বারিধারার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেট্রোল ও অকটেন নিয়ে চিন্তা নেই। হেডেক হয়েছে ডিজেল। ডিজেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পরিবহন সেক্টরে। সে দিকটাও সরকার বিবেচনা করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে। এখানে কোন ভর্তুকি নেই, সব লোকসান দিচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিপিসির লোকসান ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা দাম সমন্বয় করার কথা চিন্তা করছি। তবে, তা জনগণের সহনীয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হবে। সরকার একটি মেকানিজম বের করার চেষ্টা করছে, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেলে এখানেও বাড়ে। আবার কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এখানেও কমে যাবে।
জ্বালানি তেলে দাম বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে না করে নির্বাহী আদেশে করা হচ্ছে কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার মনে করছে আপাতত নির্বাহী বিভাগের হাতে থাকলেই ভালো।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পরও কেন দেশে দাম বাড়ানোর তোড়জোড়? এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতটা কমেছে সে বিষয়টি বুঝতে হবে। দর উঠেছিল ১৭০ ডলারে, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ ডলার। ৭৯ ডলারের ওপরে গেলে লোকসান দিতে হয়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় লোডশেডিংয়ের ফলাফল কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরাতো বিএনপির মতো অন্ধকার যুগে চলে যাইনি। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ লোডশেডিং করছে। রাজধানীতে এর ফলাফল ভালো শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে, গ্রামাঞ্চলে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এক ঘণ্টার লোডশেডিং ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত গড়াচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। মাস শেষে বিল এলে সাশ্রয়ের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা মিলবে বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি বিইআরসির এখতিয়ারে। তারা গণশুনানি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রম শেষ করে এনেছে। চলতি অথবা আগামী মাসে দর ঘোষণা করতে পারে।