নগরীর ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাট ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রাক্তন প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনাহীন কাজে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আজ চরমে পৌঁছেছে। নগরীর রাস্তাঘাট এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারণে জনগণের চলাচলের ক্ষেত্রে অসহনীয় কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন- নগরীর বেশীরভাগ ব্যস্ততম সড়কে মাসের পর মাস যত্রতত্র খোড়াখুড়ি করে, কোথাও অর্ধেক কাজ করে অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় তেমনি পথচারী ও যান চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার মৌসুমে কাঁদামাটি আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার কারণে পুরো বছরজুড়ে এসব সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ সচেতন নগরবাসী মাত্রই জানেন, জনবহুল বা নগর এলাকায় এক অংশের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত করে অন্য অংশের কাজ আরম্ভ করতে হয়, সেভাবেই পরিকল্পনা করে পুরো নগরীর উন্নয়ন কাজ করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনাহীন কাজের মাশুল দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
তিনি বলেন- সম্প্রতি মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টিতে পুরো নগরী প্রায় পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু এর পরদিনই সিসিক কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত চতুরতার সাথে ‘খোঁড়া যুক্তি’ দিয়ে এই জলাবদ্ধতার জন্য নগরবাসীকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা করেছেন। কিন্তু নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন- সিটি কর্পোরেশনের কোন নজরদারি না থাকায়, ড্রেনগুলোর কাজ যেনতেন ভাবে করে বন্ধ করা পানি প্রবাহের বাঁধগুলো অপসারণ না করেই ড্রেনের উপর স্লেব বসানো হয়েছে। এমন দায়সাড়া কাজ এবং সময়মতো ড্রেনগুলো পরিস্কার না করার কারণেই এই জলাবদ্ধতা। বিগত দিনে মশা নিধণ কার্যক্রমে তদারকির অভাবেই নগরবাসীকে মশার যন্ত্রণায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল।
তিনি সম্প্রতি নগরীর বাগবাড়ি এলাকায় সম্পূর্ণ আইনকানুন মেনে নির্মিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম এডভোকেট এম এ সালামের বাসা ভাঙ্গার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এধরণের অমানবিক, বেআইনি সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বর্ষার মৌসুম আসার আগেই নালা-নর্দমা পরিস্কার করা, যথাসময়ে মশা নিধনের মাধ্যমে মশার উপদ্রপ থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত রেখে নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়াই এই প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এই মূল কাজগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির হর্তাকর্তাদের শুধুমাত্র বড় বড় প্রজেক্টগুলোকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। যা নগরবাসীর মনে নানান ধরণের প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
তিনি সর্বাগ্রে নগরবাসীর মৌলিক সেবাগুলো নিশ্চিত করতে সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি