শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবসে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

10
শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্রের অবরুদ্ধ দিবসে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্রের অবরুদ্ধ দিবসে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ১৬ জুলাই) নগরীর কোর্ট মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং ১৫ আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদসহ জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ধানমন্ডির নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে থেকে গ্রেফতার ও কারান্তরীণ করে।
গ্রেপ্তারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেয়া হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের নিবেদিতকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে।
জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তীব্র আন্দোলন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেখ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ জুন জামিনে ৮ সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ১৬ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্রের অবরুদ্ধ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৬ জুলাই) শনিবার বাদ জোহর দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, ১৬ জুলাই ২০০৭ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করে মাইনাস ফর্মূলার অপচেষ্টা করেছিলো দেশ বিরোধী অপশক্তি। এ দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়। তবে তাদের এই অপচেষ্টা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দিয়েছিলো, তিনি বলেন আজকের এই দিনে ২০০৭ সালে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যে অপচেষ্টা করা হয়েছিলো সেই স্বপ্ন লাখো বাঙালির আন্দোলনের মুখে পরাস্ত হয়। লুটতারাজকারী অপশক্তির করা বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বেশিদিন স্থায়ী করতে পারেনি। আমাদের নেত্রী দেশ ও জনগণের সেবা করতে মুক্ত হন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলছে। তিনি আরো বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই রাষ্ট্র নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তিনি রাষ্ট্র নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সিলেট মহানগর যুবলীগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।
সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তা নস্যাৎ করতে বিএনপি জামায়াত ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে, যা এর আগেও তারা বহুবার কার্যকর করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ওরা মিথ্যাবাদী লোভী সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বিএনপি লুটতাজের দেশে পরিণত করেছিলো। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার মাইলফলকই নয়, বরং শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তিনি আজ বিশ্বনেতাদের কাছে উন্নয়ন আর মানবিকতার প্রতীক।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা, এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগষ্ট সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এড কাশেম আহমদ, এড আকবর হোসেন, মাসুদ মিয়া পীর, মাজেদ চৌধুরী, মোসাদ্দেক নবি, নুরুজ্জামান, রুপম আহমদ, সেবুল আহমদ সাগর, আফজাল হোসেন, আজাদ উদ্দিন, রুহুল আমিন, আবির হাসান রানা, রাফিউল করিম মাছুম, জাবেদ আহমদ, সাদেক খান, রেজাউল করিম হাসান, আমিনুল ইসলাম আমিন, নাহিদ রহমান সাব্বির, লন্টু গোপ, সোহেল খন্দকার, মনির মিয়া, আব্দুল কাদির ইমন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি