বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
বন্যার পানিতে ভেসে গেছে খড়কুটো। যেটুকু রয়েছে সেটুকুও নষ্টের পথে। শুকানোর যায়গা নেই। এখনো অনেক বাড়ির আঙ্গিনায় পানি। তাই হাওর পারে অনেকেই বাধ্য হয়ে বসত ঘরের টিনের চালায় ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া খড়কুটো কোন রকম শুকিয়ে নিচ্ছেন। শনিবার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বন্যা কবলিত গ্রাম ঘুরতে গিয়ে দেখা যায় শাহগঞ্জ গ্রামে টিনের চালায় কৃষাণ পরিবারের এক নারীকে টিনের চালায় খড়কুটো শুকাতে। শুধু শাহগঞ্জ নয় এ অবস্থা উপজেলার বন্যা আক্রান্ত অনেক গ্রামেই। যাদের বাড়িতে দু চারটি গরু-মহিষ আছে তারা খড়কুটো নিয়ে বেশ চিন্তিত। বন্যায় অনেকে খড়কুটো ভেসে গেছে। তাই অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যদি গো খাদ্য না পাওয়া যায় তাহলে গরু মহিষ বিক্রি করে দিতে হবে। বন্যাক্রান্ত পরিবারে খাবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি গো খাদ্য বিতরণ করতে দেখে গেছে দু একটি সংগঠন কে।
উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল ওদুদ তিনি জানান, বন্যার পানিতে তার ঘর বাড়ি ভেঙ্গেছে সেই সাথে খড়কুটোও ভেসে গেছে। সামান্য কিছু ছিলো এগুলোও শুকাতে পারেন নি তিনি। এ অবস্থায় খড়কুটো না পেলে গরু বিক্রি করে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
সাহেবনগর গ্রামের কৃষক রবি দাস তিনি বলেন, ত্রাণ হিসেবে গরু মহিষের খাবার খড়কুটো দিলে হাওরপারের অনেক কৃষকের বড় উপকার হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন, হাওর পারে মানুষের পাশাপাশি অনেক কৃষক পরিবার গরু মহিষের খাবার নিয়েও চরম বিপাকে রয়েছেন।