সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। আবার কিছু স্থানে পানি ক্রমশ বাড়ছে। যেসব স্থানে পানি নামছে সেখানে বন্যার ভয়াবহতা ফুটে উঠছে। এমন ক্ষতি সিলেট অঞ্চলের মানুষ কোন দিন দেখে নি। বন্যার্তরা বর্তমানে খাবার সহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বন্যার্ত মানুষ। সরকারী ত্রাণের অপ্রতুলতার কারণে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে চলেছে। বেসরকারী সহযোগিতায় বন্যার্তরা কিছুটা সাহায্য পেলে পুনবার্সনের জন্য সরকারী সহযোগিতার বিকল্প নেই।
তিনি শনিবার জামায়াতের উদ্যোগে ধারাবাহিক ত্রাণ তৎপরতার অংশ হিসেবে নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ২৭নং ওয়ার্ডের ষাটঘর এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে উপরোক্ত কথা বলেন। এছাড়া শনিবার জামায়াতের উদ্যোগে ধারাবাহিক ত্রাণ তৎপরতার অংশ হিসেবে দিনভর নগরীর ১০, ১২, ২৭, ৩১ ও ৩৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই কার্যক্রম বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে শনিবার নগরীর জালালাবাদ থানার ৩৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, ত্রাণ সামগ্রী ও ১০নং ওয়ার্ডের শেখঘাট এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে জামায়াতের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, জালালাবাদ থানা আমীর মুফতী আলী হায়দার, কোতোয়ালী পশ্চিম থানা আমীর মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, ৩৭নং ওয়ার্ড সভাপতি রিয়াজ মিয়া, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার তারেক মিয়া বাবুল, জামায়াত নেতা কাওছার আহমদ, আব্দুল মাজীদ, সুহেল আহমদ, জাহাদঙ্গীর আলম, আব্দুল জব্বার ও হাফিজ শামীম আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি